বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় ইলিশ সাগরে বিচরণ করে। ইলিশের বসবাসের পানিতে থাকতে হবে লবণের মাত্রা। শুধুমাত্র মা ইলিশ ডিম ছাড়তে নির্দিষ্ট একটা সময়ে সাগরের লোনা পানি থেকে চলে আসে নদীতে। নদীর মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ।নদীতেই ইলিশের বিচরণ।
সে ধারণা পাল্টে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর এলাকায় একটি বড় পুকুরে ধরা পড়েছে ৯৫টি জ্যান্ত ইলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রায়হানপুরের সিদাম মিয়ার পুকুরে মাছ ধরতে গেলে ধরা পড়ে ইলিশগুলো।
এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জেলা জুড়ে।
পুকুরে ইলিশ পেয়ে সিদাম মিয়ার ছেলে সুজন জানান, মঙ্গলবার ধরতে নেমে জালে উঠে আসে ১১টি ইলিশ। এসময় তারা অবাক হয়ে ফের জাল ফেলে পুকুরে। এভাবে কয়েকবার জাল ফেলার পরে মোট ৯৫টি রুপালি ইলিশ পায় তারা। প্রত্যেকটি ইলিশের ওজন গড়ে ৪০০-৬০০ গ্রাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ইদ্রিস চৌধুরী বলেন, আমরা এর আগে কখনো পুকুরে ইলিশ মাছ দেখিনি। পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়া কল্পনারও বাইরে। কিন্তু সেটাই আমি নিজের চোখে দেখলাম।
পুকুরের মালিক সিদাম মিয়া (৬৮) বলেন, ৭৫ শতাংশ জায়গা জুড়ে থাকা আমাদের এ পুকুরে প্রতি বছরই মাছ ধরা হয়। তাই এবছরও আমরা মাছ ধরতে গেলে ইলিশ মাছ উঠে আসে। পুকুরে ইলিশ মাছ পাওয়ার পর এলাকার মানুষ ভিড় জমায় তাদের বাড়িতে। মাছগুলো আমরা স্বজন ও প্রতিবেশীদের মাঝে ভাগ করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, আমি ঘটনাটি বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেয়েছি। তবে, মাছগুলো সবাই খেয়ে ফেলেছে। পুকুরে ইলিশ মাছ বেড়ে ওঠার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। আমার ধারণা নদী থেকে হয়তো ঝাটকা ইলিশগুলো সাগরে ফেরার পথে কোথাও বাধাগ্রস্ত হয়ে ছোট খাল বা জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে এই পুকুরে ঢুকেছে। ৯৫টির মধ্যে একটি মাছ পাওয়া গেলেও এটি নিয়ে গবেষণা করা যেতো।