তিন মাস ১৩ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়েছে। এবার পাওয়া গিয়েছে ২৩ বস্তা টাকা। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৮ টায় মসজিদের ৮ টি দানবাক্স খোলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি জানান, প্রতি ৩ মাস পরপর পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়। এবার তিন মাস তের দিন পর খোলা হলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। এখন চলছে গণনার কাজ।
চার মাস পূর্বে গত ৬ মে দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। সাথে মিলেছিলো বিভিন্ন বৈদেশিক মূদ্রা ও স্বর্ণালংকার। এরও আগে গত ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ৬ দিন পর দানবাক্স খোলা হলে ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিলো। দিনব্যাপী টাকা গণনা শেষে রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গিয়েছিলো। সাথে ডায়মন্ডের গহনাও পাওয়া গিয়েছিলো।
টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছেন, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮ টায় জেলা প্রশাসক মো. আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার রাসেল শেখ ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। দানবাক্সগুলো খুলে দানের টাকা এক এক করে ২৩টি বস্তায় ভরে আনা হয় গণনার জন্য। বিকেল পর্যন্ত চলবে টাকা গণনার কাজ। তারপর জানা যাবে এবারের দানের মোট টাকার পরিমান।