চলন্ত ট্রেনে ঢিল, আতঙ্কিত যাত্রীদের চিৎকার

চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছুড়ে মারার ঘটনা থামছেই না। এবার হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কালনী এক্সপ্রেসে চলন্ত অবস্থায় পাথর ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটে। এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি ‘স্নিগ্ধার’ যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রী সেলিম আল দীন জানান, কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যখন দ্রুতগতিতে সিলেট অভিমুখে আসছিলো হঠাৎ করে জানালার গ্লাসে ছুড়ে মারা পাথর এসে আঘাত করে। মুহূর্তেই জানালার কাচ ভেঙে যায়। এতে ২২ ও ২৩ নম্বর সিটের যাত্রী আহত হন। এ ঘটনায় পুরো কম্পার্টমেন্ট জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের চেঁচামেচি ও চিৎকারে রেলের নিরাপত্তা রক্ষীরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

এদিকে ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন, শায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটলেও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন প্রতিকারমূলক কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। ফলে, প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রেনের দরজা—জানালার গ্লাস পাথর নিক্ষেপের কারণে ভাঙছে। এতে নষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ। পাথরের আঘাতে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো যাত্রীর চোখ, মুখ ও মাথায় আঘাত লেগে আহত হচ্ছেন।

ক্ষুব্ধ যাত্রীরা জানান, কৌতুহলবশত অথবা নাশকতার উদ্দেশে পাথর ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারী থাকলে পাথর নিক্ষেপকারীরা এমন দু:সাহস দেখাতে পারতো না বলেও যাত্রীরা মন্তব্য করেন। তারা ট্রেন যাত্রা নিরাপদ করতে এ ব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার নুরুল ইসলাম জানান, স্টেশনের বাইরে কোনো দায়ভার তাদের ওপর বর্তায় না। তবে, পাথর নিক্ষেপ প্রতিকারে রেলওয়ে পুলিশের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেট রেলওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কামাল আহমদ জানান, চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারার ঘটনা অপরাধমূলক কাজ। ট্রেন যেহেতু হুট করে থামানো যায় না, তাই নিক্ষেপকারীদের সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করা যায় না। তবে, এ অপরাধ নির্মূলে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts