পিকনিকে যাচ্ছিলেন ১১জন সহকর্মী। আনন্দের এই যাত্রাই যে হবে শেষ যাত্রা কে জানতো। সিলেট আর ঘুরে দেখা হলো না তাদের, পথেই হতো হলো প্যাকেটবন্দি।
সাভার ইপিজেড এলাকার এস বি নিটিং লিমিটেডের ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ভ্রমণের জন্য সিলেট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি পাথর বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নেয়ার পথে ১ জন ও হাসপাতালের আরও ১ জন মারা যায়। গুরুত্বর আহত হয় ৪ জন। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সবুজ, আরিয়ান, আলামিন, রাজু, আলামিন, আব্দুল আওয়াল, মাইক্রোবাসের চালক নাসির। আহতরা হলেন- সাকি, পারভেজ, দোয়েল, মিঠুন। নিহত ও আহত সবাই সাভার
এস বি নিটিং লিমিটিডের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের ঘাশিরদিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ ট্রাকের চালককে আটক করেছে।
দুঘর্টনার খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বজনরা। এ সময় স্বজন হারানোর শোকে তারা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
পুলিশ জানায়, রাতে ঢাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস সিলেট যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুরের ইটাখোলা নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা যায়। আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল নেয়ার পথে ১ জন ও হাসপাতালের আনার পর আরও ১ জন মারা যায়। গুরুত্বর আহত হয় ৪ জন। তাদের আশঙ্কাজক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসটি দ্রুত গতিতে অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করার সময় ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইটাখোলা ফাড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন বলেন, রাত ৩টার দিকে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থালে ৫ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ২ জন সহ মোট ৭ জন মারা গেছেন।