কক্সবাজার ঘাটে সাগর থেকে মাছ আহরণের পর তীরে ফিরে নোঙর করা একটি ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১২ জেলে অগ্নিদ্বগ্ধ হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে ১০ জনের শরীরের ৭০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম নতুন বাহারছড়া নুনিয়ারছড়াস্থ ৬ নম্বর ঘাটে সেলিম বহদ্দারের ট্রলারে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম অগ্নিদগ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন, আইয়ুব (৩১), দীল মোহাম্মদ (৩০), রফিক (২৫), মনির(২৬), শফিকুল (২৬), আরমান (২০), রহিম (৩৭), রহিমুল্লাহ (৩০), শাহিদ(৩৫) এবং ওসমান (১৯)।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ২ জেলে হলেন, আলী আকবর (৫০) ও দুলাল মাঝি (৪৭)।
আহত সকলেই মো. সেলিমের মালিকানাধীন দুলাল মাঝির ফিশিং ট্রলারের জেলে এবং কক্সবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ড কুতুবদিয়া পাড়া ও সমিতি পাড়ার বাসিন্দা।
ওসি রফিকুল জানান, ঘাটে নোঙর করানো অবস্থায় ফিশিং ট্রলারটির ভেতরে থাকা সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২জন জেলে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। আহতদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনা হলে ১০ জনকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। অপর ২ জন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কী কারণে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটির মালিক পশ্চিম নতুন বাহারছরার সেলিম বহদ্দার। বৃহস্পতিবার শেষরাতে আহরিত মাছ নিয়ে বোটটি তীরে ফিরে ঘাটে নোঙর করে। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন লেগে যায় বলে জেনেছি। এতে ট্রলারে থাকা সকলে দগ্ধ হন। তবে, কেন এবং কিভাবে তা বিস্ফোরিত হলো সেটা এখনো বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।’
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যবসায়ী ঐক্য সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন হাজারি বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সবাইকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ‘আগুনে দগ্ধ হওয়া ১২ জনকে সকালে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৭০ শতাংশ দগ্ধ হওয়া ১০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন এখানে চিকিৎসাধীন। ফিশিং বোটে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ ঘটনা বলে জানিয়েছেন আহতরা।’
চট্টগ্রামে পাঠানো আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান ডা. আশিকুর রহমান।