চাঁদপুর-বরিশাল নৌপথে যাত্রীদুর্ভোগ

অমরেশ দত্ত : চাঁদপুর থেকে সরাসরি বরিশাল ও বরগুনাগামী লঞ্চ প্রতিনিয়ত না থাকায় এই নৌপথে যাত্রীদুর্ভোগ বেড়েছে। তেলের দাম বৃদ্ধি, যাত্রী সংকট-এমন অজুহাতে চাঁদপুর থেকে দক্ষিণাঞ্চলে লঞ্চ চলাচলে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ লঞ্চের ভাড়াও বাড়িয়ে নিতে চাইছেন।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গেলে লঞ্চের অভাবে যাত্রীদের দূর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।

চট্টগ্রামগামী যাত্রী আসাদুজ্জামান সাকিব বলেন, প্রতিদিন চাঁদপুর থেকে রাত ১০ টায় এবং রাত সাড়ে ১১ টায় বরিশালগামী ২টি লঞ্চ চলাচল করতো। হঠাৎ করেই গেলো ২ সপ্তাহ যাবৎ লঞ্চগুলো বন্ধ। এতে করে আমরা যারা ট্রেনে করে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর নেমে লঞ্চযোগে বরিশাল যাচ্ছি। আমরা সকলেই ভোগান্তি ও বিড়ম্বনায় পড়েছি।

চাঁদপুর লঞ্চঘাট সূত্রমতে, চাঁদপুর থেকে পূবালী-১ এবং রাজহংস-৮ নামের দুটি লঞ্চ বরিশাল-বরগুনা যেতো। এছাড়াও অনিয়মিতভাবে সুন্দরবন-১২ লঞ্চটি রাত সাড়ে ১১ টার পর ঢাকা থেকে চাঁদপুর ঘাট স্পর্শ করে এরপর বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যেতো। কিন্তু সেটি এখন করা হচ্ছে না। এমনকি গেলো ৩১ আগস্ট হতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূবালী-১ এবং রাজহংস-৮ লঞ্চ দু’টিও চাঁদপুর ঘাটে ভিড়ছে না। এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগের যেনো কোনো শেষ নেই।

সাদিয়া নামের এক নারী যাত্রী জানান, সরাসরি লঞ্চ না থাকায় আমাদের এখন চাঁদপুর থেকে বরিশাল ৩শ’ টাকার ভাড়া হলেও তা বর্তমানে ৩ গুণ বেশি গুনতে হচ্ছে। যার কারণে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, সময় নষ্ট এবং বাচ্চা কাচ্চা ও অসুস্থ বৃদ্ধাদের নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছি। কেননা এখন আমাদের রাত সাড়ে ১০ টায় হুলারহাট-ভান্ডারিয়া লঞ্চে করে বানরিপাড়া বা শিকারপুর নেমে সেখান হতে বাসে করে বরিশাল যেতে হয়। অথবা রাত ১২ টার পর মীরগঞ্জ লঞ্চে করে মীরগঞ্জ নেমে সেখান হতে বাসে করে বরিশাল যেতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাটের টিআই মো. শাহ আলম, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুর হয়ে ভোলা-লালমোহন-ঘোষেরহাট গামী ১টি লঞ্চ চললেও তা বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া আমরা বরিশালগামী লঞ্চগুলোর মালিকদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা আমাদের কথা শুনেনি। তবুও আমাদের পক্ষ থেকে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে তাদের ভোগান্তি কমাতে মাইক্রোফোনে ঘোষণা দিয়ে বার বার কিভাবে বরিশাল যেতে হয় তা অবগত করার চেষ্টা করছি।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে চাঁদপুর রকেটঘাট থেমে রাত সাড়ে ১০ টার পর বরিশাল হয়ে খুলনার উদ্দ্যেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রকেট স্টিমারটি গেলো দেড় বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts