ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভায় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ, ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি বলেছেন, সাংবাদিকদের আমি খুবই সম্মান ও পছন্দ করি। সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সার্বিক সহযোগিতা করব। প্রয়োজনে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলব। সাভারে বন বিভাগের ৫ একর খাস জমি রয়েছে। এ ব্যাপারে সাভারের এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলে আমি সাংবাদিকদের দ্রুত আবাসনের জমির সুব্যবস্থা করবো। ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের নেতৃবৃন্দকে প্রতিমন্ত্রী বরাবর একটি আবেদন করতে বলেছেন।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বিশেষ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আল-মামুনের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান খান বাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) -এর সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কাজী রফিক, কুদ্দুস আফ্রাদ, আবু জাফর সূর্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) –এর সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাজ্জাদ আলম খান তপু, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি সুভাষ চন্দ্র বাদল, বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রতন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামালসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
পরে ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বিশেষ সাধারণ সভার ২য় অধিবেশন শুরু হয়। দুটি এজেন্ডা নিয়ে সাধারণ সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেয়। আলোচনা সভায় প্রথম এজেন্ডা ছিল ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সদস্যদের সঞ্চয়কৃত টাকা দিয়ে জমি ক্রয় এবং ২য় এজেন্ডা ছিল মৃত সদস্যদের নমিনী স্ত্রী অথবা সন্তানদের সদস্যপদ বহাল রাখা। তবে তারা সমিতির কোন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেনা।
ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে হাত তুলে পক্ষে এবং বিপক্ষে মতামত চাওয়া হয়। সমিতির বেশিরভাগ সদস্যরা উল্লেখিত দুটি এজেন্ডার পক্ষে একমত পোষণ করলে তা সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহিত হয়।