‘এনহ্যান্সিং দ্য ক্যাপাসিটি অব সিভিল সোসাইটি টু প্রিভেন্ট ড্রাগ এবিউজ এমাং দ্য ইয়ূথ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের উখিয়াতে মাদকবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম শুরু করলো ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়াযর পাল্স বাংলাদেশ সোসাইটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টারে প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর সহযোগিতায় প্রকল্পটি উখিয়ার নির্বাচিত ৫টি স্কুলে বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) কক্সবাজার জেলা উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ বদরুল আলম ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আইয়ুব আলী।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে ডিএনসি’র কক্সবাজার জেলা উপ-পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, এই কার্যক্রমের সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সম্পৃক্ত হয়ে একযোগে কাজ করে যাবে। এই কার্যক্রমের ফলে পারিবারিক দক্ষতা কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বাবা-মা ও অভিভাবক পর্যায়ে সচেতনতা বাড়বে। এর মাধ্যমে তারা পরিবার তথা কমিউনিটি পর্যায়ে মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রমে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, উখিয়া সীমান্ত শহর হওয়ায় মাদক পাচার ও অপব্যবহারের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সম্প্রতি এই এলাকায় ‘ক্রিস্টাল আইসনামের সিন্থেটিক ওষুধের সবচেয়ে বড় চালান বাজেয়াপ্ত করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তার উপরে শহরটি ফোর্সলি ডিসপ্লেড মায়ানমার নাগরিকদের (এফডিএমএন) শিবিরে ভারাক্রান্ত। অন্যদিকে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটির বিগত সভায় কক্সবাজার এলাকায় মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এসব কারণেই এই এরিয়াটিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি তরুণদের এবং তাদের পরিবারের জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণে প্রমাণ-ভিত্তিক এবং টেকসই পরিবর্তনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সেশন এবং যোগাযোগ কার্যক্রম সমন্বয় করবে। এর ফলে সমাজে মাদকের ব্যবহার যথেষ্ট হ্রাস পাবে বলে আশা যায়।
এসময় উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ শাহেদুল হক প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও পদ্ধতি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা, সাংবাদিক ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।