‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা সংবিধানের বর্ণনা’

আজ ‘জাতীয় সংবিধান দিবস। এ বছর দ্বিতীয় বারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে। গত বছর ৪ নভেম্বর তারিখকে ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হলে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপন করা হয়।এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর ভাবনা সংবিধানের বর্ণনা’।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংবিধান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের সদস্যদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংবিধানের বিধানাবলি সঠিকভাবে অনুসরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি জাতীয় সংবিধান দিবস পালনের মাধ্যমে এ দেশের জনগণ সংবিধানে বিধৃত তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হবে এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের সদস্যগণ তাদের দায়িত্ব পালনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংবিধানের বিধানাবলি সঠিকভাবে অনুসরণ করবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান পৃথিবীর সুলিখিত সংবিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান আমাদের সকলের পবিত্র কর্তব্য।’

জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে দেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ তেইশ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র এগারো মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গৃহীত হয়েছিল বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাক্সিক্ষত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার, যেখানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হবে। বঙ্গবন্ধুর এই লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের জন্যই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ঘোষণা করা হয় যে, রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন একটি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হবে।

আজ বিকাল সাড়ে তিনটায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি উজ. আহমেদ মুথাসিম আদনান প্রধান অতিথি, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সভাপতি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts