রোববার ( ১৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে নেটদুনিয়ায় ফাঁস হয় একটি ৯ মিনিটের অডিও। নেটদুনিয়ায় এ অডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়। ওই ভাইরাল অডিওতে তিশা দীর্ঘসময় কথা বলেন দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের স্ত্রী রেহান চৌধুরীর সঙ্গে।
পুরনো সেই অডিওতে তিশা ও রেহানের আলাপচারিতায় স্পষ্ট হয়ে উঠে একসময় হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তিশার। হাবিবও স্ত্রী রেহানকে ভুলে মনে প্রাণে ভালোবেসেছিলেন অভিনেত্রী তিশাকে। কিন্তু অজানা কারণে হাবিব-তিশার প্রেম জীবনে তৈরি হয়েছিল নানা জটিলতার।
যে জটিলতায় জীবনে কী করবেন তিশা তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তাই হাবিবের জীবন থেকে তিশা সরে যাবেন নাকি যাবেন না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হাবিবের স্ত্রী রেহানকে ফোন করেন তিশা।
ভাইরাল হওয়া ওই ফোনকলে শোনা যায়, তিশা রেহানকে বারবারই অনুরোধ করছেন রেহানের মতামত জানার জন্য। তিশার কথা অনুযায়ী, হাবিবের জীবনে যদি রেহান থাকতে চায় তবে তিশা হাবিবের জীবন থেকে সরে দাঁড়াবেন। আর যদি রেহান হাবিবের জীবনে থাকতে না চান তবে তিশা সম্পর্কটা নিয়ে আবারও ভাববেন।
রেহান সোজা জানিয়ে দেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো কথাই তিশাকে জানাবেন না।
এক পর্যায়ে তিশা রেহানকে বলেন, হাবিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের পর তিশা মানসিকভাবে অনেক স্ট্রেসের মধ্যে আছেন। তার ক্যারিয়ারও নষ্ট হচ্ছে। তবে প্রেমের জন্য ক্যারিয়ার নষ্ট হওয়াটা তিশা গুরুত্ব দেন না। গুরুত্ব দেন মানুষটাকে। কিন্তু সে মানুষটাও তার সঙ্গে প্রতারণা করছেন।
দীর্ঘ আলাপচারিতায় স্পষ্ট হয়ে উঠে, ওই ফোনকলের সময় রেহান ও হাবিব সেপারেশনে ছিলেন। কিন্তু সেপারেশনে থাকার পরও রেহানের সঙ্গে হাবিব দেখা করতে যেতেন। হাবিবের এমন আচরণ তিশা মেনে নেননি। তিশা তাই হাবিবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তাই রেহানকে ফোন করেছিলেন তিশা।
ওই ফোনকল তিশার একান্ত ব্যক্তিগত। এ ব্যক্তিগত বিষয় কে নেটদুনিয়ায় ফাঁস করেছেন তা জানতে পেরেছেন অভিনেত্রী। তাই দ্রুত ছুটে যান ডিবি কার্যালয়ে।
সাইবার বুলিংয়ের শিকার হওয়ার অভিযোগ জমা দেন ডিবি কার্যালয়ে। সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর সংবাদমাধ্যমে সে অডিও ফাঁসকারীর নাম প্রকাশ করেন তিশা।
তিশা বলেন, ‘একটি বেসরকারি টেলিভিশনের তামিম নামের একজন সাংবাদিক এই অডিও রেকর্ডটি ফাঁস করেছে।’ তিশা আরও বলেন, ওই সাংবাদিক শুধু অডিওই ফাঁস করেন, তাকে এমনকিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন করে যা সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী।