রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেলে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত রিপোর্টে করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এ ঘটনায় রিট শুনানিতে হাইকোর্ট এই মন্তব্য করেন। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি হয়।
হাইকোর্ট বলেন, ইউনাইটেড মেডিকেলে আয়ানের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টে করা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশগুলো হাস্যকর। এটা এক ধরনের আইওয়াশ। প্রতিবেদন পড়ে মনে হচ্ছে, রোগীর প্রতি চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
এ বিষয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান হাইকোর্ট।
এর আগে, গত ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে আদালতের দেওয়া নির্ধারিত সময়ের ৩ দিন পর রোববার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক ডা. পরিমল কুমার পাল। গত ১৫ জানুয়ারি আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং চিকিৎসকের লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
গত ৩১ ডিসেম্বর আয়ানকে ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে খতনা করায় সাতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। অপারেশনের কয়েক ঘণ্টা পরও জ্ঞান না ফেরায় সেখান থেকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয় আয়ানকে। সেখানে সাত দিন পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখার পর গত ৭ জানুয়ারি আয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। পরে দুই চিকিৎসক অ্যানেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ সাব্বির আহমেদ ও ডাক্তার তাসনুভা মাহজাবিনসহ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিশুটির বাবা। এ ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।