ক’বছর আগে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন কবি বাশিরা ইসলাম শান্তি। পাঁচটি সন্তান রেখে কী এক অসহ্য অভিমানে জীবন থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। হাসি খুশী উচ্ছল প্রকৃতির বাশিরার স্বেচ্ছামৃত্যুর পর আজ আবার শুনতে হলো আরেক কবি আলফা পারভীনের কথা।
কিন্তু কেন? জীবনেতো সুনামির চেয়েও বড়ো দুর্যোগ আসে, আকাশ পাতাল লন্ড ভন্ড করে দেয়ার মতোন ঝড় ওঠে। আপন নিয়মে থেমেও যায় এবং যাবে একসময়ে। দুর্যোগের রাত শেষে ভোর আসবে এটাই নিয়ম। যে কোন নিয়মের ব্যতিক্রম যে থাকে না তা হয়তো নয়। তবু এটুকু সময় শক্তি ও সাহস রেখে কি প্রাণটুকুকেও রক্ষা করা যায় না?
করতে জানা কিংবা করার মতো মানসিকতা রাখা দরকার। না হলে যে কোন বিপন্নতার নাম ধরে আমরা কেবল হারিয়েই যেতে থাকবো। আর কতো হারাবো? কতো চাপ নেবো আমরা? এতে জীবনের তাপ ক্ষয়ে ক্ষয়ে শীতলতার অন্ধকারেই আবর্তিত হতে থাকবে ক্রমাগত।
আজ ইংরেজ কবি সিলভিয়া প্লাথের কথাও মনে হচ্ছে খুব। তবে সবাই কি আর সিলভিয়া প্লাথের মতোন মরেও অমর হতে পারে?
-ফেসবুক স্ট্যাটাস
৯ নভেম্বর ২০১৫