জেসিআই শান্তি পুরস্কার পেলেন এএইচএম নোমান

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য ‘জেসিআই বাংলাদেশ শান্তি সম্ভব এওয়ার্ড- ২০১৭’ পেলেন বেসরকারী সংস্থা ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম নোমান।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)- বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাজধানীর গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এএইচএম নোমান এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।

২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষ্যে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্ব-স্ব দেশে টেকসই পদ্ধতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় আন্তর্জাতিকভাবে জেসিআই এ সম্মাননা দিয়ে থাকে। এ বছর বাংলাদেশে এএইচএম নোমানসহ নয়জন এ সম্মাননা পান।
এএইচএম নোমান ১৯৭০ এর ১২ নভেম্বর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে লাখ লাখ লোকের প্রাণহানীতে ‘ধ্বংস থেকে সৃষ্টি’র শ্লোগান নিয়ে রামগতি তথা বৃহত্তর নোয়াখালীতে ত্রাণ, পুনর্বাসন, পুনর্গঠন, উন্নয়ন ও মানবাধিকার ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে অদ্যাবধি তিনি দারিদ্র্য বিমোচন কাজে নিয়োজিত আছেন।
তিনি জাতীয় এনজিও ডরপ এর মাধ্যমে গরীব মা’দের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ভাবক ও অনুশীলক (মে ২০০৫), যা বাংলাদেশ সরকার সারাদেশে বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া তিনি ২০ বছর এক প্রজন্ম মেয়াদে দারিদ্র্য বিমোচনে মাতৃত্বকালীন ভাতা কেন্দ্রিক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা। এ কর্মসূচীটিও সরকার পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করেছে। দরিদ্র মাদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সামাজিক বিনিয়োগ করে ‘পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশীপ-পিপিপিপি’ এর মাধ্যমে ‘মা সংসদ’ প্লাটফরম পাইলট বাস্তবায়নকারী। এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় ইতোমধ্যে তিনি ‘মাতৃবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ‘সার্বজনীন ব্যবস্থাপনা নির্বাচন পরিষদ’ ও ‘স্বাস্থ্যগ্রাম’ কার্যক্রমের প্রবক্তা।
এএইচএম নোমান ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবহিতৈষী’ কাজে অবদান রাখায় বাংলাদেশে প্রথম ‘গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড ২০১৩’ লাভ করেন।
এএইচএম নোমান ১৯৪৭ সালে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার হাজীপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পরবর্তিতে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে বসবাস, শিক্ষা ও কর্মজীবন শুরু করেন। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি সকলের বড়। এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক জনাব নোমানের সহধর্মীনী ডাঃ রাজিয়া বেগম একজন মা ও শিশু চিকিৎসক।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নর্দান ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আশফাকুর রহমান, জেসিআই নর্থ’র লিগ্যাল কাউন্সিলর কানিজ ফাতেমাসহ উপদেষ্টা ও জাতীয় পরিষদের সদস্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। ইরফান হক ও ইসমত জাহান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
আ হ ম ফয়সল
Print Friendly

Related Posts