তামাকে উচ্চহারে করারোপের দাবী, শিশুদের পতাকা মিছিল

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পকেটমানি দিয়ে শিশুরা যাতে সহজে কমমূল্যে বিড়ি-সিগারেট কিনতে না পারে সেজন্য আসন্ন বাজেটে তামাকের উপর উচ্চ হারে করারোপের দাবীতে ‘প্রত্যাশা’ মাদক বিরোধী সংগঠনের উদ্যোগে রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকার বিভিন্ন্ স্কুলের শিক্ষার্থীরা এক তামাকবিরোধী পতাকা মিছিল বের বের করে।

৪৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল কাদিরের নেতৃত্বে গেন্ডারিয়া মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গেন্ডারিয়া কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়, কোব্বাদ সরদার বিদ্যালয়সহ আশেপাশের ১০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তামাকবিরোধী পতাকা মিছিলটি সাঈদ খোকন সেন্টার হইতে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এতে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও তাদেও অভিভাবক,শিক্ষক ও গেন্ডারিয়া এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।

‘প্রত্যাশা’র সাধারন সম্পাদক হেলাল আহমেদ-এর পরিচালনায় মিছিলের শুরুতে আব্দুল কাদির বলেন, দরিদ্র এই দেশে প্রতিদিন নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সে তুলনায় তামাকপন্য বিশেষ করে বিড়ি-সিগারেটের দাম একেবারে কম হওয়ায় গরীব জনগোষ্ঠী কম দামে তামাকসেবন করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে।

fff+

হেলাল আহমেদ বলেন, দেশী-বিদেশী তামাক কোম্পানীগুলো প্রতিবছর বাজেটের পূর্বে সরকার যাতে তামাকপণ্যের উপর কর না বাড়াতে না পারে সেজন্য তারা বিভিন্ন কূটকৌশল গ্রহণ করে,তাদের কূটকৌশল বা চাপে পড়ে সরকার বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তামাকের জটিল ট্যাক্স সিস্টেম-এর মূলা দেখিয়ে তামাকের উপর ট্যাক্স না বাড়িয়ে তামাক কোম্পানীর কাছে নতি স্বীকার করে। এতে বিড়ি-সিগারেটের দাম পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত কম হওয়ায় শিশু-কিশোররা সহজে তাদের পকেটমানি দিয়ে তামাক পণ্য কিনে তামাক/মাদকে আসক্ত হচ্ছে। যার ফলে দেশের তরুন সমাজ দিন দিন তামাকে আসক্ত হয়ে দেশে একটি দূর্বল ও মেধাশূন্য জাতি তৈরী হচ্ছে। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি হচ্ছে। আমরা মনে করি মাদকাসক্তির প্রথম ধাঁপ হচ্ছে ধূমপান বা তামাকসেবন। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন এজেন্সী দেশকে মেধাশূন্য ও অসুস্থ সমাজ তৈরীতে তাদের কূটকৌশলের মাধ্যমে যুব সমাজকে তামাক/মাদকে আসক্ত করে সরকারের সুস্থ-সূন্দর-উন্নত সমাজ গড়ার সদিচ্ছাকে বাধাগ্রস্থ করার মহা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায় আসন্ন বাজেটে সকল প্রকার তামাক পণ্যের স্পেসিফিক ট্যাক্স সিস্টেম চালু করে তামাকপণ্যের দাম এমনভাবে বৃদ্ধি করতে হবে যাতে গরীব জনগোষ্ঠী তথা শিশু-কিশোররা সহজে তামাকপণ্য কিনতে না পারে।

মিছিল শেষে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা “কর বাড়ান তামাকের-জীবন বাঁচান আমাদের” শীর্ষক প্রায় ৫০ ফুট লম্বা সাদা ব্যানারে গণস্বাক্ষর করে।বিজ্ঞপ্তি

Print Friendly

Related Posts