ঢাকা-৫ আসনে নৌকার সম্ভাব্য প্রার্থী!

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনার মধ্যেও থেমে নেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে রাজধানীর দেয়ালে-দেয়ালে শোভা পাচ্ছে মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টার।

গত ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের প্রবীণ সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে গত ১০ মে ঢাকা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। করোনা পরিস্থিতিতে কবে এ আসনের উপনির্বাচন হবে—তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে, আওয়ামী লীগের দলীয় পরিমণ্ডলে এরই মধ্যে আলোচনা চলছে—কে হবেন নৌকার প্রার্থী।

আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, অবস্থানগত দিক থেকে ঢাকা-৫ আসন দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় এলাকা। এখানে দল থেকে অভিজ্ঞ ও নিবেদিত ব্যক্তিকেই প্রার্থী দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত তরুণ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বিরোধী দলের থাকার সময় আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন—এমন নেতার হাতে উঠতে পারে মনোনয়ন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, ঢাকা-৫ (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও আংশিক কদমতলী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।

দীর্ঘদিন ঢাকা পাঁচ আসনে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রয়াত হাবিবুর রহমান মোল্লা। প্রবীণ এই নেতার মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি হিসেবে আলোচনায় এসেছে ছেলে মশিউর রহমান সজলের নামও।

মনোনয়নের আলোচনা থাকা আরেক নেতা যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না।

আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশি।

এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুও।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে যার সম্পৃক্ততা বেশি, গ্রহণযোগ্যতা বেশি, যিনি দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, এমন কাউকে দল প্রাধান্য দেবে। এছাড়া দলের দুর্দিনে জীবন বাজি রেখে যিনি লড়াই-সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন, সে বিষয়ও বিবেচনায় রাখা হবে।’

Print Friendly

Related Posts