কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে নাগরপুরের খোকা বাবু

আরিফুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: আর কয়েকদিন পরেই কোরবানির ঈদ। আর ঈদকে টার্গেট করে সারা দেশের ন্যায় টাঙ্গাইলের নাগরপুরের খামারীরাও প্রস্তুত তাদের গরু নিয়ে।
এবার কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে নাগরপুরের খোকা বাবু। কালো সাদার মিশেল রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী ষাঁড়টিকে আদর করে নাম দেওয়া হয়েছে খোকা বাবু।
খোকা বাবু খুবই শান্তশিষ্ট একটি ষাড় গরু। গরুটি টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নঙ্গীনা বাড়ির মো. আবুল কাশেম মিয়ার আদর যত্নে পালিত গরু। যার ওজন প্রায় ২৭ মণ। খুবই শান্ত, রোগ মুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই খোকা বাবুর। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ টাঙ্গাইলের নাগরপুরের নঙ্গিনাবাড়ির কাশেমের বাড়িতে এসে খোকাবাবুকে দেখে যান।
গরু পালনের বিষয়ে খামারি কাশেম বলেন, গরুর ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমার নেই। তাই নাগরপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ডা.রফিকুল ইসলাম স্যারের সাথে যোগাযোগ করি। স্যার বলেন, আপনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজন এর ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ালে অর্থ ও ঝুকি দুইই কমবে এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদিত হবে।
খোকা বাবুর দামের প্রত্যাশায় কাশেম আরো বলেন, বাজার বরাবর বিক্রি করতে হবে। বাজারে ক্রেতা ও গরুর সরবরাহের উপর নির্ভরশীল তবে আমি ১২ লক্ষ টাকা চাচ্ছি। আগামী ঈদেও তিনি এমন গরু নাগরপুরবাসী কে উপহার দেবে কি না প্রশ্নের জবাবে বলেন, যদি পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাই তবে অবশ্যই চেষ্টা করব আরো ভাল মানের গরু তৈরি করার।
খোকাবাবুর খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাশ, গাছের পাতা, খর, ভূষি, ভুট্টা ভাঙ্গা, সরিষার খৈল, নালি, চাউলের কুড়া, লবন, পরিমান মত পানি। নিয়মিত গোসল করানো, পরিস্কার ঘরে রাখা, বাবুর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা, নিয়মিত হাটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া ও কৃমির ঔষধ খাওয়ানো এ সকল বিষয় স্যারের পরামর্শেই আজ খোকাবাবু ১ টন। খোকাবাবুকে মোটা তাজা করার ব্যাপারে কোন প্রকার ঔষধ ও ইনজেকসন ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা আশিক সালেহীন বলেন, গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে। গরুটির জাত হলো ফিজিয়াম। এ জাতের গরু আমাদের দেশে এখন খামারিরা পালন করছে। আমার জানা মতে গরুটি নাগরপুর উপজেলায় সবচেয়ে বড় এটি ।
Print Friendly

Related Posts