বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, “আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। শিগগিরই তাকে আদালতে তোলা হবে।”
আবদুল মাজেদ ভারতে পালিয়ে আছেন বলে এর আগে বিভিন্ন সময়ে খবর এসেছে সংবাদ মাধ্যমে। তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা তাকে বাংলাদেশেই পেয়েছি। হয়ত করোনার ভয়ে চলে এসেছে।”
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারকৃত খুনি মাজেদকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগার পাঠানো হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে মাজেদ বিদেশে পলাতক ছিলেন।
গতকাল সোমবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় পলাতক থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশও জারি করা আছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দায়মুক্তি আইন বাতিল করে আওয়ামী লীগ সরকার। ওই বছরের ২ অক্টোবর ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকার দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল ১৫ জনকে মৃত্যুন্ডাাদেশ দিয়ে রায় দেন। আইনি প্রক্রিয়াশেষে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ ও মুহিউদ্দিন আহমেদের ফাঁসি কার্যকর হয়। মাজেদসহ ৬ খুনি পলাতক ছিলেন।
পলাতক ছয় খুনির মধ্যে মাজেদ অন্যতম। পলাতক বাকি ছয় খুনিরা হলো আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, আব্দুল মাজেদ ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে কানাডায় নূর চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রাশেদ চৌধুরী। মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে ও শরিফুল হক ডালিম স্পেনে আছে। তবে খন্দকার আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদ কোন দেশে অবস্থান করছেন তার সঠিক তথ্য পুলিশের কাছে ছিলনা।