লিবিয়ায় নিহতদের বাড়িতে বাড়িতে শোকের মাতম

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥  লিবিয়ায় নিহতদের বাড়িতে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। রকিবুলের মৃত্যুর খবরে শোকের মাতম বইছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার খাটবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে। রকিবুলের মা মাহিরুন নেছা কাঁদতে কাঁদতে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। অনর্গল বলছেন ‘ও সোনা, সোনারে, সোনার জ্বালায় জানডা বেরুয় যাচ্ছেরে আল্লাহ। ও আল্লাহ।’

লিবিয়ায় গত বৃহস্পতিবার অপহরণকারীদের হাতে নিহত ২৬ বাংলাদেশির একজন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম খাটবাড়িয়ার ঈসরাইল হোসেন দফাদারের ছোট ছেলে রকিবুল ইসলাম রকি। সংসারে সচ্ছলতা আনতে মাত্র ২০ বছর বয়সে মাতৃভূমি ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিল লিবিয়ায়। ভিটে বাড়ির একটি অংশ বিক্রি করে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দালালের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রয়ারি বাড়ি ছেড়েছিল সে। গিয়েছিল ভাগ্য পরিবর্তন ও জন্মদাতা বাবা-মায়ের মুখে একটু হাসি ফোটাতে। কিন্তু বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর পরিবর্তে তাদের বুকে এখন এক সাগর কান্না। এখন তারা অন্তত রকির লাশটা ফেরত চান।

রকিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিন শেডের ঘরের সামনে উঠোনে হাউমাউ করে কাঁদছেন রকির মা মাহিরুন নেছা। তাকে ঘিরে বসে অন্য স্বজনদের চোখেও পানি। কাঁদতে কাঁদতে মাহিরুন নেছা আহাজারি করছেন। তিনি বলেন, ভিটে বাড়ি বেচে ১০ লাখ টাকা দিয়ে রাস্তায় থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমার সোনারে বাঁচতে দিল না তারা। এদিকে পাশেই একটি চেয়ারে রকির বাবাকে বসিয়ে রেখেছেন কয়েকজন স্বজন। ছোট সন্তান হারিয়ে শোকে নির্বাক পাথর তিনি। কাঁদতেও যেন ভুলে গেছেন। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। মাঝে মাঝে বিড় বিড় করে আপন মনে কি যেন বলছেন।
রকির শোকার্ত বড় ভাই সোহেল রানা জানান, তারা চার ভাই বোন। রকি সবার ছোট। রকি যশোর সরকারি সিটি কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল। গত ১৫ ফেব্রয়ারি লিবিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। ভিটে বাড়ির একটি অংশ বিক্রি করে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দালালের মাধ্যমে ভাইকে লিবিয়ার ত্রিপোলি পাঠানো হয়। তার এক আপন চাচাতো ভাইও থাকেন লিবিয়ার ত্রিপোলিতে। সেখানেই তার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দালাল তাকে ত্রিপোলিতে নিতে পারেনি। রকির বিমানটি বেনগাজিতে অবতরণ করেন। যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে দালাল তাকে বেনগাজি থেকে ত্রিপোলিতে নিতে পারছিলো না। এজন্য সে বেনগাজীর একটি তেল কোম্পানিতে কাজ নেয়। সেখানে ২ মাস কাজ করে। কাজের সুবাদে পরিচয় হয় এক বাংলাদেশি দালালের সাথে। ওই বাংলাদেশি রকিকে বেনগাজী থেকে ত্রিপোলিতে চাচাতো ভাইয়ের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য ৭০ হাজার টাকায় চুক্তি করে।

সে অনুযায়ী গত ১৫ মে রকি দালালের সাথে বেনগাজী থেকে রওনা হয় ত্রিপোলির উদ্দেশে। পথে ত্রিপোলির কাছাকাছি মিজদাহ নামক স্থানে ১৭ মে তারা অপহরণকারীদের হাতে জিম্মি হয়।

সোহেল রানা আরো জানান, পরের দিন সন্ধ্যার দিকে তার কাছে বাংলাভাষী একজন ফোন করে। সেই ব্যক্তি নিজের পরিচয় না দিয়ে রকির মুক্তির জন্য ১২ হাজার ইউএস ডলার অথবা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এসময় অপহরণকারীরা তার সাথে রকির কথা বলায়। রকি সোহেলকে জানায়, তাকেসহ অন্য জিম্মিদের অপহরণকারীরা খুব নির্যাতন করছে এবং টাকা না দিলে হত্যা করা হবে।
এরপর প্রতিদিনই অপহরণকারীরা রকিকে নির্যাতন করে টাকার দাবিতে ফোন করাতো এবং দুবাইয়ের একটি একাউন্টে টাকা জমা করতে বলতো। একপর্যায়ে ১০ লাখ টাকা দিতেও রাজি হয়েছিলেন এবং পহেলা জুন টাকা দেয়ার সময় নির্ধারিত হয়েছিল।

সোহেল রানা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে রকি তাকে ফোন দেন। সাথে ঘটনাস্থলের গুগল ম্যাপের ছবিও পাঠান। ফোনে রকি অপরহণকারীদের সাথে জিম্মিদের মারামারির ঘটনা জানিয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাতে বলেন। এরপর শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে অপহরণকারীদের হাতে জিম্মি হওয়া আহত মাগুরার তরিকুলের মাধ্যমে রকির মৃত্যু সংবাদ পান।
তিনি বলেন, তাদের পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছেন। তারা অন্তত ভাইয়ের মুখটা শেষবারের মতো দেখতে ও দাফন করতে চান। এজন্য তারা রকির মরদেহ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

গোপালগঞ্জ: লিবিয়ায়  নিহত ২৬ জনের মধ্যে রয়েছে  গোপালগঞ্জের সুজন মৃধা (২০)। বর্তমানে ছেলের শোকে ওই বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

নিহতের পরিবারের স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সন্তানের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আকুতি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।  একই অবস্থা চলছে গুলিতে আহত ওমর শেখের বাড়িতেও। আহত ওমরের বাবা-মা আহত সন্তানকে ফেরত চেয়ে আকুতি জানিয়েছেন।

নিহত ও আহতের পরিবার এই মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরিবারের অভাব মেটাতে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া ছাত্র সুজন মৃধা লিবিয়া পাড়ি জমান। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের কৃষক কাবুল মৃধার ছেলে সুজন মৃধা। সুজনের বাবা একই ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ী গ্রামের রব মোড়লের মাধ্যমে ছেলেকে লিবিয়া পাঠান। এর জন্য দালালকে ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেন তিনি।

স্থানীয় মহাজন ও কৃষি জমি বন্ধক রেখে টাকা জোগার করেন তিনি।পরে তা তুলে দেন দালালের হাতে। তাকে ৩৫ হাজার টাকা মাসিক বেতনে রংয়ের কাজ দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তাকে কোনো কাজ দেয়নি দালাল চক্র। বরং মেরে ফেলার ১৭ দিন আগে সুজনকে ওই দেশের মানব পাচারকারী চক্রের হাতে তুলে দেয়।

২৬ মে মানব পাচারকারীরা সুজনের কাছে আরো ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ভয়েস কল পাঠাতে বলে দেশে।ওই ভয়েস কলে সুজনকে মারপিট করার ভয়েস পাঠানো হয়। তখন সুজনের বাবা তাদের কাছে ১ জুন পর্যন্ত সময় চান। কিন্তু তার আগেই ওরা সুজনকে গুলি করে হত্যা করে।

ওই দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশি দালাল আমীরের মোবাইল ফোন থেকে ভয়েস কল পাঠানো হয় এবং সোমালিয়ায় আহমেদ মোহাম্মদ আদম সালামের ব্যাংক হিসেবে মুক্তিপণের টাকা পাঠাতে বলা হয়।ব্যাংক অ্যাকাউন্ড নং-০০২৫২৬১৫৮৩৭৪৪৯, সোমালিয়া, মগদিশা।

নিহত সুজনের বাবা কাবুল মৃধা জানান, তিনি অভাবী মানুষ। সামান্য কিছু কৃষিজমি ও বর্গা চাষাবাদ করে ৬ সদস্যের পরিবার কোনো রকমে চলছিলো। তখন প্রতিবেশী যাত্রাপুর গ্রামের রব মোড়ল ৩ লাখ টাকায় ছেলেকে লিবিয়া পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। সেখানে রংয়ের কাজ দেওয়া হবে এবং মাসে ৩৫ হাজার টাকা বেতন দেওয়া হবে বলে জানান। তখন তিনি স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে সুদে ও কিছু জমি বন্দক রেখে রব মোড়লকে ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেন। জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ছেলেকে রব মোড়ল লিবিয়া পাঠায়।

কিশোরগঞ্জ: লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের গুলিতে নিহতদের মধ্যে ৮ জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। প্রিয়জনের মৃত্যুর খবরে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। নিহতরা হচ্ছেন, সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন আকাশ, একই ইউনিয়নের মৌটুপি গ্রামের সোহাগ আহমেদ, আকবর নগর গ্রামের মাহাবুব হোসেন , শ্র্রীনগর ইউনিয়নের সাকিবুল হাসান, মেলিটারি, শম্ভুপুর বড় কান্দার জানু মিয়া, একই গ্রামের মামুন মিয়া, সাদ্দাম মিয়া ও শম্ভুপুরে মোকশেদ আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলী।

স্বজনরা জানান, দালালের মাধ্যমে ইটালি যাওয়ার উদ্দেশ্যের লিবিয়ায় পাড়ি জমান তারা। লিবিয়ায় বেনগাজী থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কাজের সন্ধানে যাচ্ছিলেন তারা। পথে মানব পাচারকারীরা তাদের জিম্মি করে। মানব পাচারকারীরা মোট ৩৮ জনকে জড়ো করে। তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহৃতদের রাজধানী ত্রিপলিতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে দ্রুত মুক্তিপণ আদায়ের জন্যে মিজদাহ শহরে নিয়েই শুরু হয় বর্বর নির্যাতন। পরে জিম্মিদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ঘটনাস্থলেই অন্তত ২৬ বাংলাদেশি নিহত হয়।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, দালালদের প্রলোভনে যুবকরা অবৈধ পথে লিবিয়াকে ব্যবহার করছে। তিনি জানান, নিখোঁজদের পরিবারের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ৮ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছি। দালালদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

ফরিদপুর: লিবিয়ায় মানব পাচারকারীদের গুলিতে নিহত ফরিদপুরের সালথার উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে কামরুল ইসলামের (২৮) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শুক্রবার কামরুলের মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসার পর থেকে তাদের পরিবার ও আশে পাশের প্রতিবেশিরা শোকাহত হয়ে পড়েছেন। কামরুল আলমপুর গ্রামের কবির শেখের ছেলে। ৩ ভাই ও ২ বোন ছাড়াও কামরুলের স্ত্রী ও দুই বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত কামরুলের বাবা কবির শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, অভাব অনটনের সংসার। আশা ছিলো- ছেলেকে বিদেশে পাঠায়ে যদি একটু সুখের মুখ দেখা যায়। সেই আশা নিয়ে দালালের কথা মতো সমিতি থেকে লোন ও জমি বিক্রির সাড়ে চার লাখ টাকা জোগাড় করে গত ডিসেম্বর (পাচঁ মাস) মাসে ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম বিদেশে। ছেলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পাশাপাশি পরিবারের স্বচ্ছ¡লতার কথা ভেবেই তাকে বিদেশ পাঠানোর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু স্বপ্ন পূরণতো দূরের কথা উল্টো লিবিয়া থেকে দালালরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আসছিলো কিছুদিন যাবত। তিনি বলেন, পাশের গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার গোয়ালা গ্রামের দালাল আব্দুর রব এর মাধ্যমে ভারত ও দুবাই হয়ে লিবিয়ায় পৌঁছান কামরুল।

লিবিয়ায় হতাহতদের পরিচয় : লিবিয়ায় পাচারকারীদের গুলিতে বাংলাদেশিদের পরিচয় মিলেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিহতদের মধ্যে ২৪ জন এবং আহত ১১ জনের পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছে। লিবিয়ার দেওয়া তথ্যে নিহতদের নিখোঁজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী নিহত ২৪ জন হচ্ছেন গোপালগঞ্জের সুজন ও কামরুল, মাদারীপুরের জাকির হোসেন, সৈয়দুল, জুয়েল ও ফিরুজ, রাজৈরের বিদ্যানন্দীর জুয়েল ও মানিক, টেকেরহাটের আসাদুল, আয়নাল মোল্লা ও মনির, ইশবপুরের সজীব ও শাহীন, দুধখালীর শামীম, ঢাকার আরফান, টাঙ্গাইলের মহেশপুরের বিনোদপুরের নারায়ণপুরের লাল চান্দ, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রাজন, শাকিল, সাকিব ও সোহাগ, রসুলপুরের আকাশ ও মো. আলী, হোসেনপুরের রহিম এবং যশোরের রাকিবুল।

আহত ১১ জন হচ্ছেন- মাদারীপুর সদরের তীর বাগদি গ্রামের ফিরোজ বেপারী (হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ), ফরিদপুরের ভাঙ্গার দুলকান্দি গ্রামের মো. সাজিদ ( পেটে গুলিবিদ্ধ), কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শম্ভপুর গ্রামের মো. জানু মিয়া (পেটে গুলিবিদ্ধ), ভৈরবের জগন্নাথপুর গ্রামের মো. সজল মিয়া (দুই হাতে মারাত্মকভাবে জখম), গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বামনডাঙ্গা বাড়ির ওমর শেখ (হাতে মারাত্মকভাবে জখম ও দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ), টাঙ্গাইলের মহেশপুরের বিনোদপুরের নারায়ণপুরের মো. তরিকুল ইসলাম (২২), চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বেলগাছির খেজুরতলার মো. বকুল হোসাইন (৩০), মাদারীপুরের রাজৈরের কদমবাড়ির মো. আলী (২২), কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সখিপুরের মওটুলীর সোহাগ আহমেদ (২০), মাদারীপুরের রাজৈরের ইশবপুরের মো. সম্রাট খালাসী (২৯) এবং চুয়াডাঙ্গার বাপ্পী (মস্তিষ্কে গুলিবিদ্ধ, গুরুতর অবস্থা)। আহতরা সবাই ত্রিপোলি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ছবি: রকিবুলের মৃত্যুর খবরে শোকের মাতম বইছে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার খাটবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে

Print Friendly

Related Posts