বজ্রপাতে দুইদিনে ২৭জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার সুনামগঞ্জে মারা গেছেন দুই ব্যবসায়ী ও তিন জেলে। মঙ্গলবার সকালে করিমপুর ইউনিয়নের মাটিয়াপুর গ্রাম থেকে কয়েকজন লোক নৌকায় করে চাপতির হাওরে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন ওই গ্রামের শামীম মিয়া (৪০) ও তহুর মিয়া (৩৫)। তারা দুইজনই বাঁশ কেনাবেচা করতেন। মঙ্গলবার দুপুরে বেরমনা হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন শাল্লা ইউনিয়নের শ্রীহাইল গ্রামের হৃদয় মিয়া (১৮), ইমন মিয়া (২০) ও সাইমুল ইসলাম (১৮)।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় মারা গেছেন বাবা ও দুই ছেলে। আহত হয়েছেন আরও একজন। মধুপুর বনাঞ্চল এলাকার বেরবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর পচারচনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের নিখিল ও তার পরিবারের সদস্যরা ভোরবেলা বাইরে যাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই বাবা ও দুই ছেলে মারা যান। নিহতরা হলেন নিখিল হাজং (৪৫), তার ছেলে জর্জ সিমসাং (১০) ও লোটন সিমসাং (৮)।

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় মারা গেছেন ছেলেসহ মা। আহত হয়েছেন মেয়ে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গুজাদিয়া ইউনিয়নের করমসী গ্রামের কৃষক মারুফ মিয়ার বাড়িতে বজ্রপাত হয়। নিহতরা হলেন মারুফ মিয়ার স্ত্রী ললিতা (৪০) ও তাদের ছেলে রিমন (১৫)।

দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও খানসামা উপজেলায় মারা যান পিয়ারু মুসাহার (৬০) ও মতি চন্দ্র রায় (৪০)। পিয়ারুসহ আরও ছয় জন সরদারপাড়া গ্রামে জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই পিয়ারু মুসাহার মারা যান। আহত হন অপর ছয় কৃষক। পিয়ারুর বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার হাসিনানগর গ্রামে। সকালে খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানগড় গ্রামে জমিতে কীটনাশক ছিটানোর সময় মারা যান কৃষক মতি চন্দ্র রায়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নোর রাইল্লা গ্রামে সকালে নিহত হন মঈজ উদ্দিন (৫০)। সকাল ৯টার দিকে মঈজ উদ্দিন নিজ বাড়িতে গরুকে খাওয়াচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর নয়রশিয়া গ্রামে বিকালে বজ্রপাতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এরা হলেন জহুরপুর নয়রশিয়া গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে ওহেদুল ইসলাম (৪৫) ও ফটিকের ছেলে আব্দুর রাকিব (২৩)। পদ্মা নদীর সোনারদির চর এলাকায় মাছ ধরার সময় বেলা ৩টার দিকে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ওহেদুল ও রাকিব মারা যান।

আগের দিন সোমবারও দেশের ৮ জেলায় বজ্রপাতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বগুড়ার গাবতলীতে আমনের েেত বজ্রপাতে তবিবর রহমান পাইকার (৫০) প্রাণ হারান। গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বজ্রপাতে আরিফ (১০) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়। সে দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে বৃষ্টির মধ্যে বাড়ির পাশে খেলছিল।

কিশোরগঞ্জ সদর ও নিকলী উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এরা হলেন সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন (৬০), নিকলীর জারুইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গ্রামের দুই জেলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিননগরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় শেখ সাদী (৩০) নামে এক কৃষকের।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কারগাও ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামে বিকেল ৪টার দিকে বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়।

নাটোর সদর উপজেলার জংলী এলাকায় বজ্রপাতে নুরুজ্জামান (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।

রাজশাহীর তানোরে বজ্রপাতে ঘাস কেটে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাতে সুজন নামে একজন মারা যায়। পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের অমৃতপাড়া গ্রামে বজ্রপাতে শাহ আবদুল আজিজ (৪৮) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ীতে বজ্রপাতে মো. সাদ্দাম (৩২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়।

 

Print Friendly

Related Posts