আফগানকে ২৬৬ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদে অর্ধশতকে ভর করে ২৬৫ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের জন্য আফগানিস্তানকে ২৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দৌলত জাদরানের করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে শাবির নুরকে দেন সৌম্য। বামহাতি এই ব্যাটসম্যানের ১৭ ম্যাচের ছোট্ট ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি প্রথম শূন্যরানে আউটের ঘটনা।

এরপর ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন তামিম ইকবাল। ১০ ওভার শেষে ৫০ রান করে বাংলাদেশ। তামিম-ইমরুল জুটি যখন আফগান বোলারদের সামনে দু:স্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ঠিক তখনই ধৈর্য্য হারান ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ৩৭ রানে মোহাম্মদ নবীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন ইমরুল।

বাংলাদেশের রান তখন ৮৪। ২২তম ওভারে রশীদ খানের বলে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। এর পরের বলে আর একটি চার মেরে দলের স্কোরটাকে সেঞ্চুরি পার করান এই ব্যাটসম্যান। ইমরুলের বিদায়ের পর তামিমকে দারুণ সঙ্গ দিতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

রিয়াদ শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেললেও উইকেটে সেট হবার সাথে সাথে হাত খুলেছেন এই ব্যাটসম্যান। আর অপরপ্রান্তে তামিম ছিলেন তার মতোই সাবলীল। ম্যাচের আগে আফগান স্পিনারদের নিয়ে দু:চিন্তা থাকলেও ম্যাচে নবী-আশরাফদের পাত্তাই দেননি তামিম-ইমরুল-রিয়াদরা।

৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২ উইকেটে ১৩৯ রান। তামিম-রিয়াদের জুটিটা যখন শতরানের দিকে এগুচ্ছিল ঠিক তখনই মীরওয়াশ আশরাফের বলে লং অফে ক্যাচ দেন তামিম। আউট হবার আগে নয়টি চারের ৯৯ বলে ৮০ রান করেন তামিম ইকবাল।

৩৮ তম ওভারে দুটি চার মেরে নিজের ১৫তম হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান রিয়াদ। এরপরই যেন অপ্রতিরোধ হয়ে ওঠেন এই ব্যাটসম্যান। পরের বলেই বোলারের ওপর দিকে বিশাল এক ছয় মারেন তিনি। পরের ওভারেই আউট হয়ে যেতে পারতেন রিয়াদ। ‘লোপ্পা’ এক ক্যাচ দেন আফগান অধিনায়ক আজগর স্ট্যানিকজাইকে। তবে সহজ সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আফগান অধিনায়ক।

তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিয়াদ। মোহাম্মদ নবীর পরের ওভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। আউট হবার আগে ৭৪ বলে ৬২ রান করেন রিয়াদ। রিয়াদ আউট হবার পর খানিকবাদেই আউট হয়ে যান সাব্বির রহমান। রশীদ খানের বলে লেগ বিফোর হবার আগে মাত্র ২রান করেন তিনি।

অন্যপ্রান্তে সাকিব ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। আফগান বোলারদের ওপর বেশ নির্দয়ভাবে চড়াও হন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। তবে হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থেকে দৌলত জাদরানের বলে নজিবুল্লাহ জাদরানকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন সাকিব। আফগান বোলারদের মধ্যে দৌলত জাদরান তিনটি, নবী ও রশীদ খান দুটি করে উইকেট নেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts