অভিনন্দন বিশ্বনেতা শেখ হাসিনা

আহমেদ আমিনুল ইসলাম ।।

এক. সম্প্রতি স্থানীয় সরকার পরিষদের পৌরসভা পর্যায়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চলছে নির্বাচনের প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম। এই নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে দলের ভেতর-বাইরে দোদুল্যমানতা ছিল- দোদুল্যমানতা ছিল দেশবাসীর মনে, ছিল সন্দেহ। শেষ পর্যন্ত ‘শর্ত সাপেক্ষে’ তথা এক ধরনের মেকি আবদার আরোপ করে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আনন্দের বাতাস বয়ে যাচ্ছে বলা যেতেই পারে। কারণ নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুটো দল থাকলে নির্বাচনী ‘আমেজ’টাই অন্য রকমের হয়ে যায়।

এ দেশের মানুষ ‘ভোট’ দিতে পছন্দই শুধু নয়- যে কোনো ধরনের নির্বাচনকে রীতিমতো ‘উদযাপন’ করে বলে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে এবারের এ নির্বাচন নিয়েও বেশ উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। এই উৎসাহ একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণের ভেতর প্রণচাঞ্চল্য জাগিয়ে তুলেছে। কারণ হিসেবে বলা যায়- স্থানীয় পরিষদের এসব নির্বাচনই জনগণের কাছের নির্বাচন। সরাসরিভাবে আঞ্চলিক উন্নয়নের প্রাপ্তির নির্বাচনও। আবার এই নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অনির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগণের কাছাকাছি থাকে- প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে তাদের কাছে পায়; তাদের কাছে যেতেও পারে। নির্বাচন-পূর্ব প্রতিশ্রæতি রক্ষা করতে না পারলেও নির্বাচিতদের ওপর জনগণের খুব বেশি ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকে না। কারণ নির্বাচিত এই প্রতিনিধিদের জনগণ প্রায়শই তাদের মনের কথা বলতে পারে। কোনো ফাঁক-ফুরসতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সীমাবদ্ধতা বা অসামর্থ্যরে কথাও এই যোগাযোগের মধ্য দিয়ে তারা জেনে নিতে পারে। ফলে জনগণের আশা ব্যাপকভাবে পূরণ না হলেও তারা খুব একটা হতাশ হয় না। বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ব্যবধানটুকু জনগণ বরং মেনেই নয়। আর প্রার্থীরা অধিকাংশের কাছে ও পরিচিতজন হওয়ায় স্থানীয় সরকারের এসব নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণও নৈর্ব্যক্তিতার স্তর পেরিয়ে হয়ে ওঠে অত্যন্ত সক্রিয়।

তাই বলা যায়, সমগ্র বাংলাদেশ এখন ভোট দেয়ার আনন্দে উন্মুখ। সক্রিয় আনন্দে মাতোয়ারা। নির্বাচন গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত। কিন্তু আনন্দিত এই লাখো কোটি ভোটারের অনেকেই হয়তো গণতন্ত্রের যথার্থ অর্থ বুঝেন না- ধারও ধারেন না গণতন্ত্রের। তবু আনন্দ ও উৎসাহে কাক্সিক্ষত সেই ভোটের দিনটির অপেক্ষায় প্রহর গুনছে আগ্রহের সঙ্গে।

অনেক আগ্রহের ভোটের এবারের এই প্রহর গোনার মধ্যে নতুন এক মাত্রা যুক্ত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, নতুন এই মাত্রাটি হলো নির্বাচনে সরাসরি রাজনৈতিক প্রার্থী আর তাদের জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ। আগেও স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ ছিল কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রকাশ ছিল না; তা ছিল অনেকটা ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র মতো অবস্থা। অর্থাৎ রাজনৈতিক ব্যক্তিকে অরাজনৈতিক চরিত্র ও মূর্তিতে আবির্ভূত হতে হতো। নির্বাচনের আগে ও পরে এমন কি ভোটদানের সময় প্রার্থী কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের বলিষ্ঠ কর্মী থাকলেও ‘আনুষ্ঠানিকভাবে তা বলা বা লেখা যাবে না’- এ রকম এক প্রকার ‘প্রহসন’ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব নির্বাচনেই লক্ষ করা যেতো। কিন্তু গণমাধ্যম যখন সেসব নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করে তখন প্রার্থীদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ও পরিচয়ই প্রধান হয়ে ওঠে। নির্বাচন শেষ হতে না হতেই তথাকথিত ‘নির্দলীয় প্রার্থীরা’ হয়ে ওঠেন ডাকসাইটে রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী! জাতির সামনে আশ্চর্য এই নিয়তি দিনের পর দিন বছরের পর বছর ক্রিয়াশীল ছিল! নিয়তির এই নিগড় থেকে বর্তমান সরকার গণমানুষের সম্মুখে এক বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

এবার প্রার্থীদের রাজনৈতিক চরিত্র প্রকাশিত হয়ে স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। যা একদিকে মানুষকে রাজনীতি সচেতন করবে এবং একই সঙ্গে অন্যদিকে নিজের দলের প্রতি কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা বাড়িয়ে বৃহত্তর পর্যায়ে গণতান্ত্রিক বোধে উজ্জীবিত করে তুলতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তৃণমূল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক চেতনার বিস্তারও সম্ভব হয়ে উঠবে এই ধরনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই। উন্নত রাষ্ট্রসমূহে স্থানীয় সরকারের তৃণমূল পর্যায় থেকেই দলগত পরিচয়ে অর্থাৎ প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের নজির লভ্য। বাংলাদেশ ক্রমেই সম্মুখের দিকে, উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাওয়ার একটি অনন্য নমুনা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিবর্তন- তথা সাম্প্রতিককালের এই আধুনিকীকরণ।

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের এই দেশের সম্মুখের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার শুভ সূচনা ঘটল। সারা দেশের মানুষ এখন নির্বাচনী আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। সমগ্র দেশের পৌর অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এখন নির্বাচনের আনন্দ, ভোটদানের আনন্দ- এক কথায় গণতান্ত্রিক চেতনা ও অধিকার প্রকাশের আনন্দে সাধারণ মানুষ এখন মশগুল। সারা দেশের মানুষের সঙ্গে আমরাও এই অপার আনন্দে উদ্বেলিত।

দুই. আমরা আরো আনন্দে উদ্বেলিত এই দেখে যে, বর্তমান সরকারের শাসনামলে একে একে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। জাতি ক্রমে কলঙ্কমুক্ত হয়ে ইতিহাসের সঠিক পথরেখায় চলতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সমগ্র জাতির বিজয়ের মাস এই ডিসেম্বর আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বয়ে আনে। এবারের বিজয় দিবস আমাদের কাছে অনেক আনন্দের। বিশেষত সেসব মানুষের কাছে তো বটেই- যাদের স্বজনরা এসব নরঘাতকদের ছোবলের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এই আনন্দ মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী সবার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে জাতি যেন আরেকবার মুক্তির আনন্দে হর্ষোৎফুল্ল- হরষিত।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারিক প্রক্রিয়া একটি ইতিবাচক পরিণতির দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। বিজয়ের এই মাসে আনন্দিত চিত্তে আমরা শেখ হাসিনার জয়যাত্রার বন্দনা করি।

সপ্রকাশ আনন্দের বিজয়ের এই মাসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের সরকারি পর্যায়ের নানা বক্তব্য-বিবৃতি আমাদের কিছুটা বিষাদিত করে তুলেছে- বিরক্তও করে তুলেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থকে যেসব বক্তব্য-বিবৃতি আসছে তা বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ কখনো মেনে নিতে পারে না। পাকিস্তানের মাথায় এখনো ১৯৭১ সালের আয়ুবীয় ভূত চেপে বসে আছে দেখে আমরা স্তম্ভিত হই। পৃথিবী এগিয়ে গেলেও স্বৈরাচারী মনোভাব এবং অযৌক্তিক একগুঁয়ে গোঁয়ার্তুমি এখনো পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটির স্বভাবের মধ্যে রয়ে গেছে। তাদের অনেকের একগুঁয়ে মনোভঙ্গিজাত বক্তব্য-বিবৃতি দেখে মনে হয় এখনো তারা স্বাধীন বাংলাদেশকে যেন নিজেদের তথাকথিত ‘পূর্ব পাকিস্তান’ ভেবেই বসে আছে, আশ্চর্য! এর প্রমাণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে ২১ নভেম্বর সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকরের সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তান তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানানোর মধ্য দিয়ে। কতটুকু ধৃষ্টতা থাকলে একটি স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে পাকিস্তান এ রকম বক্তব্য দিতে পারে! কূটনীতির রীতিনীতি ও বিধিবদ্ধ শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে পাকিস্তান বারবার এ রকম উসকানিমূলক মন্তব্য ও বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ কূটনীতির রীতিনীতি ও শিষ্টাচার বজায় রেখে প্রতিবাদ যে করছে না তা কিন্তু নয়। কিন্তু সাধারণের বিশ্বাস পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ভদ্র’ভাবে আর সম্পর্ক টেনে নেয়া নয়- ‘এনাফ ইজ এনাফ’ যথেষ্ট হয়েছে আর নয়।

এখন শোনা যাচ্ছে, ১৯৭১ সালের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার দায়ও পাকিস্তান অস্বীকার করতে চাইছে। চাইছে নয়- ইতোমধ্যে করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ডেকে এ কথা জানিয়ে দিয়ে পুনরায় বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো- ২৩ নভেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলবের এক সপ্তাহের মাথায় পাকিস্তান সে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে। এ যেন অনেকটাই যুদ্ধাবস্থার মতো। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ এই ত্রিপক্ষীয় চুক্তিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করার স্পর্ধা দেখিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। এই প্রক্রিয়ায় যখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিশেষ সহকারী তির্যক মন্তব্য করেন তখন তা মেনে নেয়া যায় না।

শুধু মন্তব্যই নয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে যখন বলে যে, বাংলাদেশকে ভারতের উপনিবেশ বানিয়ে ফেলছেন তখন তার এই মন্তব্য সহ্য করার ধৈর্য আমাদের থাকা উচিত নয়। এও যেন ‘বারো হাত কাঁকরের তেরো হাত বিচি’।

আমরা বারবার যখন পাকিস্তানের কাছ থেকে এ রকম অশালীন ও শিষ্টাচার বহির্ভূত আচার-আচরণ লক্ষ করছি তখন এ রূপ সম্পর্ক বেশিদূর যে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না, তা স্পষ্ট বুঝা গেছে। আমরা ধৈর্যসহ বিগত বছরগুলোতে পাকিস্তানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চেয়েছি। সাম্প্রতিককালের নানা ঘটনায় মনে হচ্ছে, পাকিস্তান এই চাওয়াকে দুর্বলতা ভেবে বসে আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে এখন পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনো ধরনের সম্পর্কই ছিন্ন করার বিষয়ে জনমত গড়ে উঠেছে। পাকিস্তানের সীমাহীন অসৌজন্য ও মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ‘সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম’ থেকেও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানানো হয়েছে। নানা বর্গের এই জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে, ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের পবিত্র আত্মার কথা মনে করে, দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির কথা বিবেচনা করে বিজয়ের এই মাস ডিসেম্বর থেকেই আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারি কিনা তা সরকারের উচ্চ মহলকে গভীরভাবে চিন্তা করার আহ্বান জানাই। আহ্বান জানাই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও।

আমরা জানি, স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু অনেক উদার ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান যদি বাঙালির উদারতা ও মানবিকতার মূল্য না বুঝে তবে সে সম্পর্ক ছিন্ন করাই ঢের মঙ্গল।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত পাকিস্তানের সঙ্গে যেহেতু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা সম্ভব নয়- সে ক্ষেত্রে লাখো বাঙালির হৃদয়ের ক্ষতস্থানে পাকিস্তানের দেয়া নুনের ছিটা (যেমনটি তারা এদেশের নিরীহ জনগণকে ১৯৭১-এর যুদ্ধে দিয়েছিল) আমরা আর সহ্য করতে চাই না। বিজয়ের মাসে তিক্ত সম্পর্কের ইতি ঘটুক জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এবারের বিজয় দিবসে এ প্রত্যাশা করি। জননেত্রীর যুগোপযোগী এক কঠোর সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আমরা। পাকিস্তানের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে আমরা পুনরায় বিজয়ের এই মাসে আনন্দিত চিত্তে জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়যাত্রার বন্দনা করি।

যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ‘ফরেন পলিসি’ এ বছরের ‘১০০ লিডিং গ্লোবাল থিংকার্স’-এর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নামটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে ‘ডিসিশন মেকার্স’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১৩ জন বুদ্ধিজীবীর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আমরা অকুণ্ঠচিত্তে বিশ্বনেতা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাই। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত দেখে আমরা আপ্লুত- তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরাও এই গৌরবের অংশীদার ভেবে পরম আনন্দিত। জয়তু শেখ হাসিনা! জয়তু বাংলাদেশ!

আহমেদ আমিনুল ইসলাম : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts