এক
হতাশ যখন হয়ে পড়ি শেষবিচারের কথা ভেবে,
বধূ তখন কাছে এসে দু-হাত আমার ধরে চেপে।
তারপরে খুব আস্থা নিয়ে বলে চিন্তা করো কেনো,
সাক্ষ্য দিয়ে বলবো তুমি পথ চলেছো মেপে মেপে।
দুই
আহা কী দারুণ আদল তোমার দেখতে খুবই হাসিখুশি,
কিন্তু রূপটা আর কতো দিন নিজের মাঝে রাখবে পুষি?
ক্ষণে ক্ষণে কালের ঘুণে ক্ষয় হবে তো সকল কিছু,
অমর কেবল থেকে যাবে তোমার বিদ্যা-জ্ঞানের কুশী।
তিন
রাত হয়েছে অনেক গভীর ঊর্ধ্বে জ্বলছে চন্দ্র-তারা,
স্বাক্ষী ওরা জেগেই আছি নয়ন দু’টি তন্দ্রাহারা।
চুপে চুপে আসবে সাকী গোপনেতে মিলব দু’জন,
সেই আনন্দেই কঠিন হৃদে বইছে শীতল ঝর্নাধারা।
চার
জানি না তো ধরার বুকে যখনই আসে মাস ফাগুন,
সবার মনে হঠাৎ কেনো জ্বলে ওঠে প্রেমের আগুন?
প্রেম যে এখন পথেঘাটে অন্দরে তাই নেই মমতা,
স্বার্থে একটু আঘাত এলে সন্তানেরও মা করে খুন।