বিডি মেট্রোনিউজ || সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সকাল ১১টা থেকে একঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, সুইডেন, জার্মানি, তুরস্ক, কানাডা, নেপাল, জাপানের কূটনীতিক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পৌর নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে বুধবার সকালে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বসে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মঈন খান বলেন, পৌর নির্বাচনের পরিস্থিতি, সরকারের মন্ত্রী-সাংসদ-নেতাদের নির্বাচনী ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন’, বিরোধী নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’, নির্বাচন কমিশনের ‘আজ্ঞাবহ’ ভূমিকা, প্রশাসনের ‘দলীয় ভূমিকা’, বিরোধীদলের প্রার্থীদের প্রচারে ‘বাধা’ ও নেতাদের ওপর ‘হামলার’ বিভিন্ন ঘটনাসহ সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
তিনি বলেন, “আজকে আলোচনার বিষয়বস্তু হলো আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অর্থাৎ গণতন্ত্রের চিত্র। আজকে দেশে গণতান্ত্রিক কোনো স্বাধীনতা নেই, যেখানে বিরোধীদল কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
“আপনারা দেখেছেন পৌরসভার সাতজন মেয়র ও প্রায় দেড়শ কাউন্সিলর ইতিমধ্যে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এটা কীভাবে সম্ভব? এটা সম্ভব হয়েছে এই কারণে যে, পৌরসভায় একতরফা নির্বাচন হয়ে গেছে, সেখানে কোনো বিরোধী দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেওয়া হয়নি।”
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা সম্পর্কে মঈন খান বলেন, “সরকারি দলের একজন এমপি হেলিকপ্টারে চড়ে এলাকায় গিয়ে তার মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে কাগজ দাখিল করেছেন। আমরা অবাক হয়েছি।”
গত দুই সপ্তাহে বিরোধীদলের এক হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অন্যদের মধ্যে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রিয়াজ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, সাবিহ উদ্দিন আহামেদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আহমেদ খান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।