বিডি মেট্রোনিউজ ||পল্টনে লড়াই হলো বিএনপি বনাম ‘আসল বিএনপির’ মধ্যে। জয় হলো বিএনপিরই। ‘আসল বিএনপি’ পালিয়ে গেল। অর্থাত্ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘দখল’ করতে গিয়ে পিটুনি খেয়ে পালিয়েছে ‘আসল বিএনপি’। এর আগে কার্যালয়ে থাকা বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফকিরাপুল মোড় থেকে জাতীয় পতাকা হাতে কয়েক শ লোক জিয়াউর রহমানের নামে স্লোগান দিতে দিতে বিএনপির কার্যালয়ের দিকে আসেন। মিছিলটি নয়াপল্টনের ‘কড়াই গোশত’ রেস্টুরেন্টের কাছে এলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থাকা ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের পিটুনির মুখে তারা পালিয়ে যান।
এতে একজন সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় ককটেলের বিস্ফোরণ এবং পুলিশের ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাও ঘটে।
‘আসল বিএনপি’র নেতা কামরুল হাসান নাসিম বলেন, ‘ বেলা সোয়া তিনটার দিকে আমাদের কিছু উজ্জীবিত তরুণ পার্টি অফিসে যাচ্ছিল কথা বলার জন্য। “নাশকতার” অসুখে ধরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপির লোকজন তাদের ককটেল চার্জ করে। এতে আমাদের ছয়জন আহত হন।’ এ সময় তিনি নিজে ছিলেন না বলে জানান।
তাঁরা কী উদ্দেশ্যে বিএনপির অফিসে যাচ্ছিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কামরুল হাসান বলেন, সে রকম কিছু না। তারা কিছু কথাবার্তা বলতে চেয়েছিলেন।
কার সঙ্গে কথাবার্তা বলতে চেয়েছিলেন, এর জন্য বিএনপির কারও সঙ্গে কথা হয়েছিল কি না- জানতে চাইলে কামরুল বলেন, ‘আমাদের পার্টি অফিসে আমরা যাব, কারও সঙ্গে কথা বলে যেতে হবে কেন?’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে একটি সমাবেশে কামরুল হাসান বলেছিলেন, ‘জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালতে’ তাঁরা বিএনপির গঠনতন্ত্র স্থগিতের রায় পেয়েছেন। পরবর্তী ৩৪ দিনের মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে উচ্চ আদালত বসবে। সেখানে বিএনপি সম্পর্কে জনতা পরবর্তী রায় দেবেন।
কামরুল হাসান গত ২৬ নভেম্বর জাতীয় প্রেসকাবের সামনে শতাধিক লোক নিয়ে ‘জাতীয়তাবাদী জনতার নিম্ন আদালত’ নাম দিয়ে দুটি কাঠগড়া বানান। এর একটিতে দাঁড়ান কামরুল হাসান নিজে, আরেকটিতে ছিল বিএনপির পাঁচটি ‘অসুখের’ প্ল্যাকার্ড। সেগুলো হলো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ, তারা বিদেশি শক্তিনির্ভর হয়ে উঠেছেন, দলে জনস্বার্থ সংরক্ষণে রাজনীতি নেই, জাতীয়তাবাদী দলটি জামায়াতবাদী দলে পরিণত এবং নাশকতার রাজনীতি বেছে নিয়েছে। এ প্ল্যাকার্ডগুলোর সামনে ছিলেন ওই লোকজন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য।