বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বিশেষ ছাড়

সারাদেশে ৩১টি জেলা বন্যার কবলিত হওয়ায় কৃষকদের জন্য বিশেষ ছাড় দিতে মঙ্গলবার সব ব্যাংককে এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি ছয় মাস আদায় না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

বন্যায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকদের কৃষি এবং এসএমই খাতের কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধ দুরূহ হবে বলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এছাড়া এসব খাতের ঋণ বিরূপভাবে শ্রেণিকৃত হলে নতুন ঋণ প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে মন্থরতা দেখা দিতে পারে বলে তা এড়ানোও এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ।

নির্দেশনা

ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ক্ষেত্র বিশেষে ডাউন পেমেন্ট এর শর্ত শিথিলপূর্বক স্বল্প মেয়াদী কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ এবং এসএমই খাতের কুটির ও মাইক্রো ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।

এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ড (কিস্তি আদায় বন্ধ) প্রদান করা যাবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এবং এসএমই খাতের কুটির ও মাইক্রো উদ্যোক্তারা যাতে প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে যথাসময়ে নতুন ঋণ সুবিধা পেতে পারেন সে লক্ষ্যে কোনো অর্থ (কম্পোমাইজড এমাউন্ট) জমা ব্যতিরেকেই পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে।

সার্টিফিকেট মামলা (যদি থাকে) সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে স্থগিত/নিষ্পত্তিপূর্বক ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।

এসব নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং উল্লিখিত পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনঃতফসিল পরবর্তী নতুন ঋণ প্রদান সুবিধা ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, “বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা যাতে কৃষিকাজে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য সহায়তা দিতেই ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts