বিডিমেট্রোনিউজ ॥ শুরু হয়েছে বাঙ্গালি হিন্দু সমপ্রদায়ের প্রাণের উত্সব, দুর্গাপূজা। আজ মঙ্গলবার শারদীয় দুর্গোত্সবের মহাষষ্ঠী। রাত ৯টা ৫৭ মিনিট অবধি তিথি থাকবে।
আগামীকাল মহাসপ্তমী। মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে অর্থাত্ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা হবে। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে। দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। সপ্তমী পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্তিমূলক সঙ্গীত, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানা অনুষ্ঠান হবে।
সাধারণত আশ্বিন শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাত্ ষষ্ঠী থেকে দশম দিন বা দশমী অবধি পাঁচ দিন দুর্গোত্সব অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচ দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী ও বিজয়া দশমী নামে পরিচিত। সনাতন বিশ্বাসে ধূপের ধোঁয়ায় গতকাল সোমবার সায়ংকালে ঢাক-ঢোলক-কাঁসর মন্দিরায় চারদিক কাঁপানো নিনাদ আর পুরোহিতদের জলদকণ্ঠে ঃ ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নম’ মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে দূর কৈলাশ ছেড়ে দেবী পিতৃগৃহে এসেছে নৌকায়। প্রস্থান করবে ঘোটকে ।
২৮ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমীর দিন সকালে কুমারী পূজা ও রাতে সন্ধিপূজা, কালীপূজা। ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী এবং ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমী। সেদিনই প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ দল বেঁধে পূজা দেখতে আসছে। গতকাল বিকাল থেকেই পূজামণ্ডপগুলোয় ভক্ত-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বাহারী পোশাকে নিজেদের সাজিয়ে উত্সব-আনন্দে মেতে উঠেছে শিশু-কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা।
গতকাল সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঝলমলে আলোকসজ্জায় রঙিন হয়ে ওঠে। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের মোড় থেকে মন্দির প্রাঙ্গণের দিকে এগিয়ে যেতে চোখে পড়ছে লাল-নীল আলোর চোখ ধাঁধানো খেলা। মন্দিরের প্রবেশ তোরন থেকে মন্দিরজুড়েই বর্নিল আলোকের রূপবিন্যাস। এ চিত্র কেবল ঢাকেশ্বরী নয়, দেশের প্রায় সব মন্দির ও পূজামণ্ডপেরই।
এ বছর সারাদেশে ৩০ হাজার ৭৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজধানীতে এবার বসেছে ২৩১টি মণ্ডপ।