বিডি মেট্রোনিউজ ॥ মৎস্য অধিদপ্তর তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী সমিতির সভাপতি নাজমা বেগমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীরা জানিয়েছেন, কর্মস্থল রাজধানীর মৎস্য ভবন থেকে তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে বের হওয়ার পর আর বাসায় ফেরেননি। এ ঘটনায় শুক্রবার রমনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নাজমা বেগমের সন্ধান পেতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী নাজমা বেগমের (৫০) দুই সন্তান। ছেলে নজরুল ইসলামও মৎস্য অধিদপ্তরে চাকরি করেন; তার কর্মস্থল চাঁদপুরে। মেয়ে রাবেয়া সুলতানা সুমিকে নিয়ে বনশ্রীর ভাড়া বাসায় থাকেন তিনি।
সুমি বলেন, তার মা প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও অফিসের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। তিনি কোনো দিন সন্ধ্যায় ফেরেন; আবার কোনো দিন রাত ৯টাও হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায়ও বাসায় না ফেরায় তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন । তিনি বলেন, “এরপর আম্মার মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মামী আম্মাকে ফোন করেছিল; কল রিসিভ না করে কেটে দেওয়া হয়।।”
শুক্রবার তারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও নাজমা বেগমকে পাননি বলে জানান তার ছেলে নজরুল। তিনি জানান, তার বাবা আব্দুস সাত্তারও মৎস্য অধিদপ্তরে চাকরি করতেন। তিনি ১৯৮৯ সালে মারা যান। এরপর মৎস্য অধিদপ্তর মানবিক কারণে তার মাকে চাকরি দেয়।
নজরুল বলেন, “আমার মা প্রায় ২৬ বছর চাকরি করছেন। কোথাও কোনো অভিযোগ নেই, কোনো শত্রুও নেই। জনপ্রিয়তার কারণে মা সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।”
নাজমা বেগমের সহকর্মী জুলহাস বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি অফিস থেকে বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান। রাতে না ফেরার খবর পাই তার মেয়ের কাছ থেকে। এরপর আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি।”
বিষয়টি মৎস্য অধিদপ্তরের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নাজমা বেগমের কোনো শত্রু থাকতে পারে- এটা আমরা মনে করছি না। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক।”
এ ব্যাপারে রমনা থানায় তার ছেলে নজরুল একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তদন্ত করছেন থানার উপ-পরিদর্শক শরীফ হোসেন।
তিনি বলেন, “নাজমা বেগমের সন্ধান পেতে পুলিশ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে।