বিডি মেট্রোনিউজ ॥ দুই বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। কাশিমপুর কারাগার-১ থেকে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বেরিয়ে এলে কারা ফটকে বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
মুদ্রা পাচারের মামলায় রোববার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তাকে জামিন দিয়ে দেওয়া হাই কোর্টের আদেশ বহাল রাখলে মোশাররফের মুক্তির পথ খোলে।
কাশিমপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ সুব্রত কুমার বালা সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার রাতে জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছার পর বুধবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুদ্রা পাচারের মামলার পর ২০১৪ সালের মার্চে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মোশাররফকে। ওই বছরের ১৬ মার্চ তাকে পাঠানো হয়েছিল কাশিমপুর কারাগারে। মোশাররফের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
৭১ বছর বয়সী সাবেক এই মন্ত্রীকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। শর্তের মধ্যে রয়েছে তিন মাসের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে, শুনানি মুলতবির আবেদন করলে জামিন বাতিল করা যাবে, আসামি কোনো অর্থ তার ব্যাংক হিসাব থেকে তুলতে পারবেন না, তার পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলা হওয়ার পর তিনি হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ পরে তা বাতিল করে। এরপর ২০১৪ সালের ১২ মার্চ গুলশানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক খন্দকার মোশাররফের দাবি, মামলায় যে অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে তা অবৈধভাবে অর্জিত নয়, পাচারও করা হয়নি। তিনি গবেষণার জন্য বিদেশে থাকাকালে এই অর্থ উপার্জন করেছিলেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আতাউর রহমান এই মামলায় মোশাররফের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।