তরুণ আইপিএসের প্রেমে পাগল তরুণীর কান্ড

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ তাকে সামনে দেখলেই বুকের ভিতরটা নাকি এরকমই ধুকপুক করে ওঠে এই তরুণীর। তিনি আইপিএস  সচিন অতুলকর। পোস্টিং উজ্জয়িনীতে সুপারিনটেনডেন্টের পদে। বয়স ৩৪। আর দেখতে? ওই যাকে বলে ‘গ্রিক গড’-এর মতো, তায় অবিবাহিত। তাঁর প্রেমেই হাবুডুবু খেয়ে পঞ্জাবের হোসিয়ারপুর থেকে ১২০০ কিমি পেরিয়ে সোজা মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নী।

একেবারে স্বপ্নের রাজপুত্তুরের বাংলোর কাছেই চলে এসেছেন বছর সাতাশের তরুণী। এখানেই যে পোস্টিং তার। তিন দিন টানা রয়েছেন বাংলোর সামনে। স্বপ্নের মানুষটির দেখা না পেলে কোথাও যাবেন না। তাকে নিয়ে রীতিমতো ফাঁপরে পড়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের পুলিশ।

উজ্জয়িনীর উইমেন পুলিশ স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক রেখা ভার্মা সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘‘মেয়েটিকে বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা চলছে। একটি আবাসিক হোমে তাঁর কাউন্সেলিংও করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি কিছুতেই বাড়ি ফিরতে চাইছেন না। মনস্তত্ত্ব নিয়ে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করেছেন উনি। তার এই অবস্থা! কিছুতেই বাড়ি পাঠানো যাচ্ছে না। বাবা -মা মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে এলেও এই মেয়ে নাছোড়বান্দা হয়ে উঠেছে অতুলকরের সঙ্গে একবার দেখা করার জন্য। পছন্দমতো পিৎজা খেতে দিয়েও ভোলানো যায়নি তাঁকে।’’

মেয়েটি ‘ইন্টারনেট সেনসেশন’ সচিনের প্রেমে পাগল। এত দূর এসে একবারটি চোখের দেখা দেখা হবে না? এমনটাই নাকি বলেছেন কাউকে কাউকে। নাগড়া রেলস্টেশন থেকে পঞ্জাবগামী ট্রেনে করে পুলিশ তাঁকে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চেয়েছিল। তারপরেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তরুণী। একবার সচিনকে না দেখে এক পাও নড়বেন না।

পুলিশি জেরায় ওই ‘পাগলপ্রেমী’-র দাবি, তিনি নাকি পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাই সোজা এসপি সাহেবের বাংলোর সামনে এসে পড়েন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁর ছবি দেখেই তরুণী ‘ধরাশায়ী’ অর্থাৎ আইপিএস সেই সচিন অতুলকর দিনে ৭০ মিনিট জিমে থাকেন। ফেসবুকে নিজেই শেয়ার করেন সেই ছবি। ভাইরালও হয়ে যায় তা। সম্প্রতি ভোপালে আইপিএস অফিসারদের একটি অনুষ্ঠানে এই ‘ফিটনেস ফ্রিক’ অফিসার বেশ কিছু পুরস্কার জেতেন।

তরুণীর ব্যাপারে সচিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘অফিসিয়াল কারণে কারও সঙ্গে দেখা করতে তাঁর আপত্তি নেই। তবে ব্যক্তিগত কিছু হলে তা সমস্যার।’’ যদিও সচিনের অটোগ্রাফ না পেলে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দেবে বলায় বছর সাতেকের এক খুদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় দেখা করেছিলেন এই অফিসার। কিন্তু এই তরুণীর সঙ্গে দেখা ? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের পুলিশকে।

আনন্দবাজারপত্রিকা

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts