নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় গণসংবর্ধনা দেবে আওয়ামী লীগ। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর টার্গেট নিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই গণসংবর্ধনার আয়োজন করা হলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির মিলন মেলায় পরিণত করে বড় ধরনের রাজনৈতিক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে আয়োজকরা। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আজকের গণসংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবেন।
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, অস্ট্রেলিয়ায় গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড এবং সর্বশেষ ভারতের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিলিট ডিগ্রী অর্জন করায় শেখ হাসিনাকে এই সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে।
দলীয় কর্মসূচী হলেও এদিন সরকারের জনপ্রিয়তার জানান দিতে পুরো মাঠ লোকে লোকারণ্য হবে। ইতোমধ্যে এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের। দলটির আয়োজকদের আশাবাদ, আজকের গণসংবর্ধনা মানুষের স্রোতে রীতিমতো জনসমুদ্রে রূপ নেবে।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া আজকের গণসংবর্ধনাকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকায় বড় ধরনের রাজনৈতিক শক্তির মহড়া দেখাবে ক্ষমতাসীন দলটি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে গত দুই সপ্তাহ ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের নজরকাড়া উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে।
বিশেষ করে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা মহানগরী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা তাদের সাধ্যানুযায়ী আজ বিশাল বিশাল শোডাউন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসংবর্ধনায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা মহানগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ড থেকে দুপুরের পর থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে মিছিল নিয়ে উপস্থিত হতে থাকবে। প্রতিটি মিছিলেই বর্তমান সরকারের গত সাড়ে ৯ বছরের বড় বড় সাফল্যেগুলো নিয়ে ব্যানার-ফেস্টুন-প্লাকার্ড তৈরি করে প্রদর্শিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার পার্শ্ববর্তী গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া ও মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বাস, ট্রাক ও রেলপথে নেতাকর্মী ঢাকায় এসে বর্ণিল মিছিল সহকারে সোহরাওয়ার্দী ময়দানে সমবেত হবে।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সংসদ সদস্য ছাড়াও সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। বিকেল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে দুই সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক হয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা প্রদান উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজধানী। নগরীর বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ সড়কে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যগাথা তুলে ধরে বিলবোর্ড-প্ল্যাকার্ড ও আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রেকর্ড সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ঘটবে।
গণসংবর্ধনায় উপস্থিত থাকবেন জয় ॥ বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের আজকের গণসংবর্ধনায় উপস্থিতি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় শুক্রবার দেশে ফিরেছেন। আমি তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আমাকে ‘ইয়েস’ বলেছেন। তিনি বলেছেন নেত্রীর সঙ্গে আলাপ করে তিনি জানাবেন। আমরা আশা করছি, সজীব ওয়াজেদ জয়ও এখানে থাকবেন।