শাহ মতিন টিপু ॥ ধর্ষণে একজন মেয়ের যে সর্বনাশ ঘটে তার কী কোনো ক্ষতিপূরণ হয়! শারিরীক মানসিক ক্ষতি ছাড়াও প্রচন্ড সম্মানহানি হয় তার। মৃত্যু অবধি গ্লানিভরা জীবন বয়ে বেড়াতে হয় তাকে। তবু ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর সামনে বিচারকালে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সামনে এসেই যায়। কিন্তু এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণটি সবসময়েই যেন একটি অমিমাংসিত বিষয়। একেক সময় আমরা একেক রকম ক্ষতিপূরণের হার দেখতে পাই। প্রতিবেশি দেশের দিকেই প্রথমে দৃষ্টি ফেরানো যাক-
শনিবার ধর্যিতা মেয়েদের জন্য ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে ধর্ষিতা নারীদের ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধি করেছে। এতে গোয়ায় ধর্যিতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম ওয়াই ইকবাল এবং অরুণ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। এই ক্ষতিপূরণ ওড়িশায় ১০ হাজার টাকা থেকে গোয়ায় ১০ ল টাকা করা হয়েছে।
ওই সুপ্রিম কোর্টের হাতে যে তথ্য ছিল, সেই অনুযায়ী হরিয়ানা এবং চন্ডীগড়ে ধর্ষিতাকে দেওয়া হয় ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। অন্যদিকে হিমাচলপ্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরে পাওয়া যায় ৫০ হাজার টাকা। এই তালিকায় পাঞ্জাবের তো নামই নেই ।
এর আগে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষিতাদের জন্য এক অদ্ভূত তিপূরণ ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ ঘোষণায় কোনও নাবালিকা ধর্ষিতা হলে তাকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ হাজার রুপি এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারী ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ২০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়। তাও ঘোষণাটির সারমর্ম এ রকম- ‘সাজানো’ না হলে তবেই পাওয়া যাবে!
২০১৫ সালের নভেম্বরে ভারতের উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদ হাইকোর্ট এক রায়ে জানায়, ধর্ষণের পর ওই নারীর গর্ভে জন্মানো শিশুও বাবার সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পাবে। একইসঙ্গেই আদালতের বক্তব্য, ওই শিশুকে যদি পরে কেউ দত্তক নেন, তখন তার জন্মদাতা বাবার সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে না। কিন্তু যতণ না পর্যন্ত ওই সন্তানকে কেউ দত্তক নিচ্ছেন, ততক্ষণ তাকে ধষর্ণকারী বাবার সম্পত্তি থেকে কেউ বঞ্চিত করতে পারবেন না।
যে ঘটনায় হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত, তা হচ্ছে- এক কিশোরী ধর্ষিতা দ্বারস্থ হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের। কিছু দিন আগে সে এক সন্তানের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু সে আর্থিকভাবে অম। তাই সে আর তার বাবা ওই শিশুকে তাদের সঙ্গে রাখতে চায় না। তারা চায়, ওই শিশুটিকে যাতে কোন দম্পতি দত্তক নেন, সেই ব্যবস্থা করে দিক হাইকোর্ট।
বস্তুত শিশুটি জন্মানোর আগেই মেয়েটি গর্ভপাতের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আদালত তখন জানিয়েছিল, সেই সময় গর্ভপাত করালে ওই কিশোরীর জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিছু দিন আগে হাসপাতালে ওই কিশোরী এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু নিজের সঙ্গে সে ওই সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে বাড়ি নিয়ে যেতে অনিচ্ছুক। অথচ সন্তানের ভবিষ্যৎ যাতে সুরতি থাকে সেটাও সে চায়। সেই জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয় সে।
এই প্রেক্ষিতেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ক্ষেত্রে প্রাপক কিভাবে জন্মেছে, সেটা আদৌ বিবেচনাধীন নয়। তার জন্মদাতা পিতার ধর্ষণের ফলেও যদি সে জন্মে থাকে, তা হলেও সেই ধর্ষণকারীর সম্পত্তি তার প্রাপ্য। তবে সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, এ বিষয়ে কোন আইন তৈরি করা বিচারবিভাগের কাজ নয়। এ ধরনের জটিল সামাজিক বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনসভারই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
অন্যদিকে ওই কিশোরীর জীবনযাপনের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ১০ ল টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। সরকার ওই সময়ে তাকে তিন লক্ষ টাকা দেয় । আদালতের নির্দেশ, মেয়েটির ২১ বছর বয়স পর্যন্ত কোন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ওই ক্ষতিপূরণের টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখে দিতে হবে। মেয়েটি যাতে বিনামূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ পায়, সে ব্যবস্থাও সরকারকেই করতে হবে। একইসঙ্গে ধর্ষিতার পরিচয় যাতে কোনভাবে প্রকাশ না পায়, সে জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। এ ছাড়া তার সদ্যোজাত সন্তান হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেলে যাতে কোন শিশুকল্যাণ সমিতির হাতে তুলে দেওয়া হয় সে নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
আবার এর আগে ২০১৫ সালের আগস্টে ‘ধর্ষিতাকে বিয়ে করলে ধর্ষকের সাত খুন মাপ’ জাতীয় রায় প্রদান করে ভারতের দুটি উচ্চ-আদালত।নারীর আত্মসম্মানকে বিকিয়ে দেবার বিনিময়ে এটা বিচারের নামে প্রহসন নয় কি? বলা বাহুল্য, বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গেলে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রায়কে সরাসরি খারিজ করে দেয়৷
অথচ ভারতের মধ্যপ্রদেশ এবং তামিলনাড়– রাজ্যের হাইকোর্ট নিজেদের রায়ে সালিশির ওপর জোর দিয়ে ধর্ষক ও ধর্ষণের শিকার নারীর মধ্যে মিটমাট করে নেবার কথা বলেন। যেমন ধর্ষিতাকে যদি ধর্ষক বিয়ে করে বা উপযুক্ত তিপূরণ দেয়, তাহলে ধর্ষকের শাস্তি অনেক লঘু করে দেয়া অন্যায় নয়!
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ধর্ষককে সাত বছরের কারাদন্ড এবং জরিমানার আদেশ দিয়েছেল তামিলনাড়– রাজ্যের মহিলা আদালত। কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি ডি. দেবদাস সেই ধর্ষককে জামিনে মুক্তি দেন, যাতে ধর্ষক এবং ধর্ষিতা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে থাকতে পারে। বিচারপতি জানান, সাত বছর আগে ঐ ব্যক্তি ১৫ বছরের একটি কিশোরীকে ধর্ষণ করে। আর সেই বলাত্কারের ফলেই মেয়েটি গর্ভবতী হন এবং একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে ২২ বছরের ঐ ধর্ষিতা তার কন্যাসন্তানকে নিয়ে মায়ের কাছে থাকেন। কয়েক মাস আগে, অপরাধী মাদ্রাজ হাইকোর্টে আপিল করলে হাইকোর্ট তাকে জামিনে মুক্তি দেয়। উদ্দেশ্য, ধর্ষিতা মেয়েটিকে বিয়ে করে অপরাধীকে তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দেওয়া। জেলে থাকলে অপরাধী সেই সুযোগ পাবে না। বিচারপতির মতে, ‘বহু বড় বড় মামলা বা বিতর্কের সমাধান করা সম্ভব হয়েছে মিটমাট করে বা সমঝোতার মাধ্যমে।’
এ ধরণের রায়ে বিভিন্ন নারী সংগঠন তথা গোটা সমাজ স্তম্ভিত, বিস্মিত হয় সুপ্রিম কোর্টও। বিতর্কিত এই রায় উল্টে দিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টগুলোর মধ্যে যেভাবে ধর্ষণের মামলাকে লঘু করে দেয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তারও কঠোর সমালোচনা করে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ মনে করে, বিয়ে করে নেয়া বা মিটমাট করে নেয়া সাজা কমানোর ভিত্তি হতে পারে না। এেেত্র নরম মনোভাব নিলে সেটা হবে ধর্ষিতা, তথা সমাজের প্রতি চরম অবিচার। এরসঙ্গে নারীর মান-সম্মানের প্রশ্ন জড়িত। তার বক্তব্য, ‘নারীর দেহ ও মনের শুচিতা বিনিময়যোগ্য পণ্য হতে পারে না।’ তাই অন্য ক্ষেত্রে মিটমাটের সুযোগ থাকলেও, খুন বা ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।
কাজেই সুপ্রিম কোর্টের মতে, ধর্ষণের মামলার সালিশি বা মিটমাট করার আইনি বৈধতা নেই। এ কারণেই ২০১৩ সালে ভারতীয় ফৌজদারি দন্ডবিধির ৩৭৬ ধারা সংশোধন করা হয়। অবশ্য, সুপ্রিম কোর্টের ঐ রায়ের পর মাদ্রাজ হাইকোর্টও তার বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি ফিরিয়ে নেয়।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেঘালয় মন্ত্রিসভায় ধর্ষিতাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার একটি সিদ্ধান্ত হয়। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সানগাম জানান, মেঘালয় রাজ্যের ধর্ষিতারা এখন থেকে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ পাবে।
এবার বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে যৌন পীড়নের শাস্তি প্রসঙ্গে চোখ ফেরানো যাক- আইনে ধর্ষণ একপ্রকার যৌন অত্যাচার, যেটি কেবল মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, একটি ফৌজদারি অপরাধও। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো পুরুষ বিয়ে ছাড়া ষোল বছরের বেশি বয়সী নারীর সঙ্গে তার সম্মতি ছাড়া বা ভয় দেখিয়ে বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে অথবা ষোল বছরের কম বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে তার সম্মতিসহ হোক বা সম্মতি ছাড়াই হোক যৌন সঙ্গম করে তাহলে সে ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে।
যদি কোনো পুরুষ কোনো নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করে তাহলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন। ধর্ষণের চেষ্টা করলে ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ দশ বছর এবং সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং এ ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। আর ধর্ষণজনিত কারণে ধর্ষিতার মৃত্যু হলে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড বা যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং কমপক্ষে এক লাখ টাকার অর্থদন্ড।
২০১৫ সালের মে-তে রাজধানীতে মাইক্রোবাসে তুলে এক গারো তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের অবহেলা ও তিপূরণ নিয়ে আদালতে একটি রুল জারি হয়। গারো তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বিলম্ব কেন ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করা হবে না, অবহেলার জন্য দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং ধর্ষিতাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলটি জারি করে হাইকোর্ট। তখন অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, এই ক্ষতিপূরণটির পরিমান কতটুকু?
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে ধর্ষণের শিকার হয় খাগড়াছড়ির এক মেয়ে। কামাল নামের ধর্ষকের বিরুদ্ধে মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। কিন্তু পুলিশ যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয় না বরং সমঝোতার নামে সময় নষ্ট করতে থাকে। ১৯ দিন পর উভয় পকে থানায় ডেকে সালিশ বসানো হয়। এসআই, ইউপি চেয়ারম্যান এবং পুলিশিং কমিটির সভাপতিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশে উপস্থিত ছিলেন। ধর্ষক তার অপরাধ স্বীকার করে। প্রথমে তিপূরণ হিসেবে অর্থ দিয়ে ধর্ষণের ব্যাপারটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে কামালকে ছেড়ে না দিয়ে থানা হাজতে নেয় পুলিশ। দায়সারাভাবে মামলাটির রেকর্ড হয়। এরই মধ্যে ২০ দিন অতিবাহিত হয়। তখন পর্যন্ত ডাক্তারি পরীা হয়নি। করবে করবে বলে প্রতিদিন তাকে থানায় এনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেয়েটিকে বসিয়ে রাখে পুলিশ। এতে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যায়। তথ্য আইন ও সালিশ কেন্দ্রের।
১৯৯৬ সালে চট্টগ্রামের রাউজান থানায় পুলিশ কর্তৃক পুলিশি হেফাজতে সীমা ধর্ষণ মামলার আলামত গোপনের খবর তখন বিভিন্ন সংবাদপত্রে খুব গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়। একই আইনে পুলিশ হেফাজতে ধর্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে কোনো নারী ধর্ষিতা হন তাহলে যাদের হেফাজতে থাকাকালে ওই ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী হবেন। তিনি বা তারা প্রত্যেকে ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হলে হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য অনধিক দশ বছর কিন্তু কমপক্ষে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং কমপক্ষে দশ হাজার টাকার অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হবেন।
গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির বিষয়গুলোয় আর্থিক ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে সমাধান দেয়া হয়। সেখানেও ক্ষতিপূরণের পরিমানটি থাকে একেবারেই হাস্যকর।
রাইজিংবিডি