বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ শুরুর ১০ ওভার ১২ করে রান তোলা উইন্ডিজ ৪ বল আগেই গুটিয়ে গেছে ১৯০ রানে। সিরিজ জিততে বাংলাদেশের করতে হবে ১৯১ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালান এভিন লুইস। মিরপুর দেখে ‘ওয়ান ম্যান শো’। এ ওপেনার পৌঁষের সন্ধ্যায় ঝড়ান ছক্কার বৃষ্টি। ৮ ছক্কা ও ৬ চারে তার সাজানো ৩৬ বলে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস হতাশা বাড়ায় স্বাগতিকের।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে লুইস যখন এলবিডব্লিউ হন, ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ তখন ৯.২ ওভারে ১২২/৩। রান তোলার গড় ১২-এর উপরে। বাংলাদেশের সামনে তখন বিশাল লক্ষ্য চোখ রাঙানি দিলেও পরের অংশে স্বস্তি নামান বোলাররা।
লুইস সাজঘরে ফেরার পর ১০ ওভারে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা নিতে পেরেছেন কেবল ৬৮ রান। ক্যারিবীয়দের আটকে রাখায় বড় অবদান মাহমুদউল্লাহর। এ অফস্পিনার লুইসকে আউট করার পরের বলেই এলবিডব্লিউ করেন শিমরণ হেটমায়ারকে (০)।
ইনিংসের দশম ওভারে জোড়া উইকেট তুললে রানে তোলার গতিও কমে আসে। শেষপর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ নেন তিন উইকেট। সমান তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ব্যাট হাতে লুইসের ঝড় আগেও দেখেছে মিরপুরের দর্শকরা। বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলে যাওয়া এ ওপেনার নিজ দেশের হয়েও তুললেন ঝড়। অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ের দিনে ১৮ বলে তুলে নেন ফিফটি। তার দল পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই তুলে ফেলে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৮ রান। অল্পের গড়া হয়নি বিশ্বরেকর্ড।
আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে সর্বোচ্চ ৯১ রান তোলা দল নেদারল্যান্ডস। সিলেটে ২০১৪ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও পল স্টার্লিংয়ের ঝড়ে দল ১৮৯ রান তাড়া করে জেতে। সে ম্যাচেই পাওয়োর প্লের শেষ ওভারের শেষ বলে ওপেনিং জুটি ভাঙার আগে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৯১ রান। উইন্ডিজ সেই রেকর্ড ছোঁয় এই সিরিজেই, সিলেটে প্রথম ম্যাচে ঠিক ৯১ রান করে তারা।