গরীবের সন্তানই কেন্দ্র শিক্ষার বড় খোরাক
এএইচএম নোমান
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুর্গম চর, উপকূলীয়, পাহাড়ি, দ্বীপ, হাওড় ও শহরের বস্তি এলাকার প্রায় ৩ লাখ শিশুকে মানসম্মত প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ইউনিক-২ প্রকল্পটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে দেশীয় সংস্থার পরিচালনায় অংশীদারী কর্মসূচির আওতায় শুরু করে।
প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রায় মাল্টিগ্রেড শিখন শিক্ষণ এপ্রোচের মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক, মাতৃভাষায় শিক্ষা, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য শিখন ক্যাম্প, শিক্ষার্থীর মায়েদের জন্য পারিবারিক জীবন শিক্ষা, দুর্যোগ প্রতিরোধ সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের সাথে স্থানীয় সমন্বয়, অ্যাডভোকেসি, অংশগ্রহণমূলক পরিবীক্ষণ, স্থানীয় সরকার ওরিয়েন্টেশন, উপকরণ উন্নয়ন ও প্রকাশনা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সার্বিকভাবে ইউনিক প্রকল্পের ১৪ বিষয় অধীনে ৪২৩০টি শিশু শিখন কেন্দ্রে (সিএলসি) ৬-১৪ বছর বয়সী স্কুল বহির্ভূত ১,৯৯,৩৩০ জন শিশু মাল্টিগ্রেড শিক্ষা পেয়েছে। অনেকেই প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেইনস্ট্রিমিং হয়েছে। ইউনিক-১ সহ ২০০৭ হতে সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ২৬টি জেলার ৮৪টি উপজেলার ৪৪২টি ইউনিয়নে মধ্যমেয়াদী দ্বিতীয় ধাপের ৭ বছরের মোট ১১ বছরের যাত্রা শেষ করেছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রশিক্ষণে পেডাগোজী ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনার, প্রাক প্রাথমিক, লোকজ ভিত্তিক ১৪টি বইয়ের প্রকাশনা ছিল অন্যতম। এছাড়া পারিবারিক জীবন শিক্ষা ও বার্ষিক মা সমাবেশ, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অর্জন ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, কেমন করে চলবে ইশকুল, সামাজিক যোগাযোগ, কমিউনিটি সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তা, সবুজ বাংলাদেশ গড়তে আড়াই লক্ষাধিক বৃক্ষরোপণ ছিল মাটি মানুষের সঙ্গে সংযোগ ক্রিয়া। ইউনিক ‘ইউনেস্কো ওয়েনহুই পুরস্কার’ এবং মাল্টিগ্রেড শিখন- শেখানো পদ্ধতির ‘কমনওয়েলথ এডুকেশন গুড প্রাকটিস’ পুরস্কার অর্জন করে। শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির সদস্যদেরকে দেশাত্ববোধে ও অধিকার সচেতন হতে বিভিন্ন জাতীয় দিবস যথা আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা, মা দিবস ও শিশু অধিকার দিবস উদযাপন করা হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু শিখন কেন্দ্রের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় ছিল প্রকল্পের গুণগত মান বজায় রাখার অকৃপণ প্রচেষ্টা।
একজন আদর্শ মানুষ গড়তে সকলে মিলেমিশে থাকার লক্ষ্যে শিশুর মন ও অনুভূতি জাগ্রত করাও প্রকল্পের আওতায় ছিল। কর্মযজ্ঞের মোট ৮৫ টি প্রকাশনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১. বাংলাদেশের পশু, ২. পাখি, ৩. ফুল, ৪. ফল, ৫. ছবি দেখে শব্দ মিলাই, ৬. পারিবারিক জীবন শিক্ষা, ৭. দুর্যোগ প্রতিরোধ, ৮. ইউনিক মাল্টিগ্রেড মডেল ব্রুশিউর, ৯. লোক আচার উৎসব, ১০. কলাবতী কন্যা, ১১. কাক ও টুনটুনি, ১২. আটু বীরের কান্ড, ১৩. আমাদের সুন্দরবন, ১৪. প্রবাদ প্রবচন ও ধাঁধা, ১৫. মজার মজার গল্প পড়ি, ১৬. লোক খেলা, ১৭. এসো লিখতে শিখি-মারমা, ইত্যাদি শিক্ষা উপকরণ ও অন্যান্য প্রকাশনাও ছিল ইউনিকের ইউনিকত্ব।
জন অংশগ্রহণ: পূর্ব বাইন চটকী শিখন কেন্দ্র জনঅংশগ্রহণ একটি বড় শক্তি। বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী নদীর ওয়াপদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন গ্রাম পূর্ব বাইন চটকী। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। নেই কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা। বর্ষার সময় এই গ্রামের শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়া একেবারে অসম্ভব। এই গ্রামে ইউনিক শিশু শিখন কেন্দ্রটি স্থাপণ করার জন্য এলাকার সায়েদ মুন্সী জায়গা দেন। কমিউনিটির কেউ বাঁশ, কেউ কাঠ, কেউ খুঁটি দেন, কেউ শ্রম, ইউপি সদস্য দেন টিন। এভাবেই সকলের সার্বিক সহযোগিতায় কমিউনিটির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় পূর্ব বাইন চটকী ফেরিঘাট শিশু শিখন কেন্দ্র।
দিন বদলের গল্প: প্রাসঙ্গিক আঙ্গিকে ভোলার নদী ভাঙ্গণ প্রবণ দৌলতখাঁন উপজেলার চর খলিফা ইউনিয়নের পশ্চিম কলাকোপা গ্রামের কমিউনিটি ও ইউনিক স্কুল কমিটির সদস্যদের সাথে সাক্ষাত এবং এলাকায় আমার (লেখক) জন্মস্থান উপজেলার শিখন কেন্দ্র ও উন্নয়ন কার্যক্রম দেখতে যাই। এলাকার কাছাকাছি কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। ২০০৭ সালে ডরপ ইউনিক স্কুল প্রতিষ্ঠা হয়। জান্নাত বেগম জানান, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি অভিভাবক সভার মাধ্যমে পারিবারিক শিক্ষা যেমন শিশুর যত্ন ও বিকাশ, কৈশোরকাল ও কৈশোরকালীন শিক্ষা, মাতৃত্বকালীন যত্ন ও নিরাপদ মাতৃত্ব, প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, নিরাপদ পানি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টি ও সামাজিক সচেতনতা, নারী ও শিশু সুরক্ষা অধিকার ইত্যাদি পেয়েছি। এছাড়া ছড়া, গান, কবিতা আবৃতি, কৌতুক, দেশাত্ববোধক গান ইত্যাদির এখানে আয়োজন রয়েছে। এই কেন্দ্রেরই কেন্দ্রের ছাত্র মোঃ হাসিব, বর্তমানে দৌলতখান আবি আব্দুল্যাহ সরকারী কলেজ বিজ্ঞান বিভাগে এবং রুমা বেগম, জাফরিন আক্তার, শিমূল আক্তার, এরা সবাই দৌলতখান মহিলা কলেজে মানবিক বিভাগে অধ্যয়নরত।
শিক্ষা ও বিনোদন কার্ড: তিন বার নদী ভাঙ্গায় ক্ষত বিক্ষত স্বপ্ন মা মিনারা বেগম, স্বামী মৃত মোঃ আব্দুল্ল্যাহ, গ্রাম চরসূভী, উপজেলা দৌলতখাঁন। ২০০৯ সালে বটমলাইনিং মাতৃত্বকালীন ভাতার আওতাভুক্ত হন। ২০১১ সালে তার স্বামী সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। ২০১৫ সালে স্বপ্ন প্যাকেজের আওতাভুক্ত হয়ে- সামষ্টিক মৌলিক চাহিদা স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্ড, শিশুদের জন্য শিক্ষা ও বিনোদন কার্ড, স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিনসহ বসত ঘর, কর্মসস্থানের জন্য একটি গরু, প্রশিক্ষণ ইত্যাদি মহিলা ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রাপ্ত হন। সন্তান দুই জনই স্কুলে যায়। স্বাস্থ্য কার্ড ব্যবহার কার্যকারিতা নিয়ে জিজ্ঞেস করলে, মিনারা বলেন- আল্লাহ না করুক এ যাবৎ কোন অসুখ হয় নাই। শিক্ষা কার্ড সম্পর্কে বলেন- স্কুল হেড মাষ্টার শিশুদেরকে সহযোগীতার দৃষ্টিতে দেখেন। স্কুল ব্যয় সব ফ্রী করে দিয়েছেন। একই ধরণের মুজিব নগরের স্বপ্ন মা সালমা বেগম, টুঙ্গীপাড়ার নন্দিতা মন্ডল, লক্ষ্মীপুরের রামগতির রাজিয়া বেগমদের দুটি সন্তানই স্কুলে যায়। বিনোদনের জন্য খেলার মাঠ পেয়ে শিশুরা খুশী।
পাথরঘাটা উপজেলার কাঁকচিড়া ইউনিয়নের মাঝের চর গ্রাম। পেশা মাছধরা। বন্যা, জলোচ্ছাস, জোয়ারের অতিরিক্ত পানির সাথে নিত্য সংগ্রাম। ২০১৩ সালে ঢাকা আহছানিয়া মিশন বরগুনার এই গ্রামে শিশু শিখন কেন্দ্র চালু করে। ঝরে পড়া শিশু ও কোনোদিন স্কুলে যায়নি এমন শিশুদের কেন্দ্র জানুয়ারি ২০১৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৭ সালে সরকার কর্তৃক বিদ্যালয়টি তিনতলা ভবনে রূপান্তরিত হয়। ভবনের সাথে সাইক্লোন সেন্টার, ১২০ মেগাওয়াট সোলার প্যানেল, শহিদ মিনার, খেলার মাঠ, সামনে পাকা রাস্তাও রয়েছে। ইউনিক স্কুলের টিউটর মোসাঃ দুলিয়া আক্তার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। একইভাবে পাহাড়ে (বান্দরবান জেলায়) থানচি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা রেমাক্রি ইউনিয়নেও নতুন স্বপ্ন দেখেছে ইউনিক। (লিখার তথ্য ও পরিসংখ্যান সমূহ ড্যাম ইউনিক বার্তার সমাপনী সংখ্যা সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে সংগৃহীত।)
ক্ষুধা-রাবেয়া: তজুমুদ্দিনের শিক্ষিকা সালেহা জানাল রাবেয়া স্কুল কেন্দ্রে আসে না। কেন? খোঁজ নিয়ে দেখল, সকালে ঘরে খেতে পায়না তাই ক্ষুধার্ত থেকে রাবেয়া স্কুলে আসেনা। মা-আদরে টিউটর সালেহা, রাবেয়াকে প্রতি দিন স্কুলে যাওয়ার পূর্বে তার বাড়ীতে একত্রে খেয়ে, ওকে সহ স্কুলে যেত। এ ক্ষুধা-তাড়নার তৃণ কথা কত জনে হিসেবে আনে? নিঝুম দ্বীপে সাইক্লোন সেল্টার ইউনিক কেন্দ্রের মেয়েদের আলতা, হাটুরে লিপষ্টিক, নর্ত্তকী পোশাকের তালে তালে নাচ গান ছিল অপূর্ব। যেন নাচিয়ে নিপা, রওশন জামিল। হাতিয়ার জাহাজমারা চেয়ারম্যান বাড়ীর দরজার কেন্দ্রের শিশু মেয়ে লিসার হাতে আঁকা গ্রাম বাগান উঠানে হাঁস-মুরগী আধার খাচ্ছে, পাশে মা-মুরগী হাঁস ঘুর ঘুর করছে। এ ছবি অভিজাত ঢাকাইয়া শিশুদের আঁকা ছবিকেও হার মানায়। যা না দেখলে বিশ্বাসযোগ্য নয়। রামগতির চর সেকান্দরের আবু মিয়ার মেয়ে বিবাহযোগ্য সুফিয়া স্কুল কেন্দ্রের শিক্ষক সুবাদে তাড়াতাড়িই বর যোগাড় হয়ে গেল। একইহেতু লালমোহনের শিক্ষক মুনমুনের বিয়ে হলো মনপুরার এক বর্ধিষ্ণু পরিবারের ছেলের সাথে। সুবর্ণ চরের আর্জিনা সুপারভাইজার যেন শান্তিই পায়না যদি কেন্দ্র শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর কার্যক্রম যোগাযোগ ও সখ্যতা না থাকে প্রতিদিন। লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীঞ্জে মাতৃবন্ধু নোমান একাডেমী চালু রেখে চলেছে শিক্ষক নুপূর। স্থানীয়দের টানাপোড়েন সমর্থনে। এসব আমার নিজ চোখে দেখা-জানা।
তৃণমূল পর্যায়ে গরীব পরিবারের ছেলে মেয়েরা এবং অভিভাবকরাই প্রকল্প সফলতার বড় খোরাক। শিক্ষক সুপারভাইজাররা ও গ্রাম পর্যায়ের যুবক যুবতী নিম্ন আয়ের উদ্যোগী- সহযোগীরাই প্রকল্প স্বার্থ রক্ষায় ভাল মন্দের ভাগীদার। সেই ‘গরীবি’ হটাও নিয়ে কোন লক্ষ্য বা মূল জায়গায় হাত দেয়ার কোন বৈষয়িক বিষয়াদি এ প্রকল্পের এজেন্ডায় নাই। রোগ না সারানোর মূল ব্যবস্থা না রেখে ঔষধ ও ডাক্তারের ব্যবস্থা করলে রোগ থেকেই যায়। হয়ত অন্য ছুরতে তা সামনে আসে। যা উন্নত-বৈষম্য লালনও বলা যায়।
Unique Intervention for Quality Primary Education Project UNIQUE ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) মূল অর্থ যোগানদার। গ্রান্টসমানি। ঢাকা আহছানিয়া মিশন লীড বাস্তবায়ন-চুক্তি সম্পাদনকারী এনজিও। ড্যাম ৮টি যেমন- এসোড, সিসিডিবি, র্ডপ, পদক্ষেপ, এমইউকে, ভার্ড, সুরভি ও ইপসা সহযোগী সংস্থা যোগে তা বাস্তবায়ন করে। এর কর্ম কৌশল, স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা, নেটওয়াকির্ং, পেশা- দক্ষতা উঁচুতায় প্রশ্নাতীত। ইইউর তহবিলের সঙ্গে মূল বাস্তবায়নকারী সংস্থা সংশ্লিষ্টতায় সকল পার্টনারসহ সকলেই মূল খয়রাতী টাকার ৫% শতাংশ টাকা অংশী হিসাবে বহন করতে হয়েছে। এ টাকা কম নয়-প্রচুর। অডিট, মনিটরিং, ইইউ সন্তোষজনক হলেই মাসকে মাস ক্ষেপণে টাকা ছাড়ের রেওয়াজ।
প্রকল্প আনুষ্ঠানিক শেষ হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮। এরপর আর্থিক লেন দেন সমাপ্ত হতে দুই বছর সময় লেগেছে। (মে ২০২০) সংশ্লিষ্ট এনজিও সংস্থা বিল ভাউচার, হিসাব কাগজ দলীলাদি স-ব কিছু তথ্য আদান প্রদান সরবরাহ রক্ষনাবেক্ষণসহ হেফাজতে রাখতে হবে কমপক্ষে ৭ বছর। এগুলোও শর্ত। রক্ষন ও গুদাম ভাড়া কে দিবে ? এখনও ১০% শতাংশ টাকা ইইউ ছাড় দেয়নি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ইইউ ব্রাজিল হেড কোয়ার্টারের চাহিদা, খবরদারী, অডিট ফার্ম নিয়োগ ও এতসব দীর্ঘ সূত্রিতার বেড়াজাল, কিন্তু চলতেও হবে। আয়-বিহীন দেশীয় এনজিরা এসকল ঝক্কী ঝামেলা সামলাতে হচ্ছে। কি-ইবা এর সমাধান? গরীবরা ধনীদের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকতে হবে! আর কতদিন কত বছর কত যুগ, নিজের পাঁয়ে দাড়ানো বাসনায় থাকব? বিদেশীদেরকে উন্নয়ন সহায়ক চাই-অংশীদার চাই। বেড়াজাল সৃষ্টিকারী প্রভু চাইনা। তবে সবার উপরে একথাও সত্য যে, ধনী-গরীব উঁচু-নীচু, টাকা দাতা, গ্রহীতা বাস্তবায়নকারী, স্থানীয় সকল ষ্টোকহোল্ডার মিলেই পার্টনারশিপ এপ্রোচে, চ্যালেঞ্জ নিয়েই প্রকল্প সফল সমাপ্ত হয়েছে। এখন প্রয়োজন টেকসই করণের লক্ষ্যে কলা কৌশল বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ। এখানেই আমাদের গণশিক্ষা ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো, দেশজ সামাজিক আন্দোলন কর্মসূচিই মুক্তির চেতনায় টেকসইতা আনতে পারে।
এএইচএম নোমান: প্রতিষ্ঠাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও স্বপ্ন প্যাকেজ প্রবর্তনকারী সংগঠন- ডরপ।
ই-মেইল-nouman@dorpbd.org