ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুফল নিয়ে সরকারি—বেসরকারি উদ্যোগে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে টেলি কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিক্যাব)।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান টিক্যাবের আহ্বায়ক মুর্শিদুল হক।
মুর্শিদুল হক বলেন, “১৩ বছর আগে ২০০৮ সালে বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: রূপকল্প—২০২১’ ঘোষণার পূর্বের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। ডিজিটাল ব্যবস্থা আমাদের নাগরিক জীবনকে সহজতর করেছে। বাস—ট্রেন—বিমানের অনলাইনে টিকেটিং, অনলাইন ভর্তি আবেদন, ই—কমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা ও পেমেন্ট দেয়া, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, অনলাইন ফুড ডেলিভারি, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন, অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই নিজের পণ্য সারাদেশে এমনকি বিদেশেও বিক্রয়ের সুযোগ গত ১৩ বছর আগে আমাদের দেশের মানুষ ভাবতে না পারলেও আজকে তা দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তায় পরিণত হয়েছে। এজন্য অবশ্যই সরকারকে আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিত। যেহেতু আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ একজন ডিজিটাল বাংলাদেশের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেছে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্টের সাথে পরিচিত হয়েছে তাই এখনই সময় দেশের জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের শতভাগ সুফল দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ যেমন ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ঠিক তেমনি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝুঁকি। সাইবার ক্রাইম, হ্যাকিং, সাইবার বুলিং, ই—কমার্সে প্রতারণা আমাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। সম্প্রতি লোভনীয় অফারের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ই—কমার্স প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ডিজিটাল প্রতারণার ঝুঁকি গুলোর একটি উদাহরণ। তাই এরকম ঝুঁকিগুলো মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও জনসচেতনতা তৈরিতে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে।”
টিক্যাব আহ্বায়ক দেশে টেলিটকের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি প্রযুক্তি চালুর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “আজ অথবা কাল আমাদের পঞ্চম প্রজন্মের ৫জি প্রযুক্তিকে গ্রহণ করতেই হতো। নতুবা আমরা অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে পড়তাম। ৫জি প্রযুক্তি মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় আমূল পরিবর্তন আনবে। এ প্রযুক্তির সাহায্যে ঘটবে ৪র্থ শিল্প বিপ্লব, রাস্তায় চলবে চালকবিহীন গাড়ি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হবে আরও শক্তিশালী, স্মার্ট সিটি বিনির্মাণ হবে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবটিক প্রযুক্তির ব্যবহার হবে সর্বত্র, বাড়বে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) প্রযুক্তির ব্যবহার। আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ তৈরির স্বপ্ন অনেকাংশে নির্ভর করছে প্রযুক্তিতে আমাদের দক্ষতার ওপর। তাই ৫জি’র সুফল পেতে ডিভাইস সংকট, অদক্ষ জনবল, সম্পদের অপ্রতুলতা সব চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারকে যথাযথ পরিকল্পনা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”