ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডোপ টেস্টে প্রতি মাসেই ধরা পড়ছে চালকদের মাদকাসক্তির বিষয়টি। আর মাদকাসক্তি সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হওয়ায় শনাক্ত চালকদের ডাইভিং লাইসেন্স আটকে দেয়া হচ্ছে। ওইসব চালকের লাইসেন্স নবায়নও বন্ধ করছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
দেখা যায়, ময়মনসিংহ মেডিকেলে প্রতিদিন প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে ডোপ টেস্ট করানো হয় পেশাদার চালকদের। প্রথম দিকে ডোপ টেস্টে চালকদের অনেকে শনাক্ত হলেও চালকদের সচেতনতার কারণে দিন দিন এটি কমছে। গাঁজা, মদ, ইয়াবা, হেরোইনসহ যে কোনো ধরনের মাদক সেবন করলেই ধরা পড়ে এই টেস্টে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. জাকিউল ইসলাম সময় সংবাদকে জানান, প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজেই মাদকাসক্তি শনাক্ত করা সম্ভব। অত্যন্ত নির্ভুল ও পেশাদারত্বের সঙ্গেই কাজটি করে যাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে বিআরটিএ ময়মনসিংহ সার্কেলের সহকারী পরিচালক এ এস এম ওয়াজেদ হোসেন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৬৬০ চালকের ডোপ টেস্টে ৩৪৫জনের নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছেন তারা। আর বাকি যাদের পজিটিভ এসেছে অর্থাৎ মাদকাসক্তি শনাক্ত হয়েছে তাদের লাইসেন্স নবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে।
দুর্ঘটনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেপরোয়া যান চলাচল ও ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে প্রাণহানি। গণপরিবহন চালকদের মাদকাসক্তি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বিবেচনা করে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে চালকদের ডোপ টেস্ট রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করে বিআরটিএ। এতে সুফলও মিলছে দিন দিন। সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন কারণের মধ্যে ৩০ শতাংশ কারণই চালকদের মাদকাসক্তি।