টানা দাবদাহের পর এরই মধ্যে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছে দেশের কিছু কিছু এলাকার মানুষ। তবে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঈদের সময় সারা দেশেই বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হামিদ মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাজশাহী পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বগুড়া, নওগাঁ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাসহ ঢাকা ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তবে এ সময় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর আগামী ৩ দিন সারা দেশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সিলেটে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সিলেটে ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার (১৯ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এদিন সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে, যার বাড়তি অংশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে।