পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর পরের দিন গত বছরের ২৭ জুন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ দিন সেতুতে আর মোটরসাইকেল চলাচল করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ২০ এপ্রিল ফের পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি মেলে। এরপর গত ছয় দিনে ৭৭ হাজার ৫২৯টি মোটরসাইকেল পদ্মা সেতু পার হয়েছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সেতুভবনে সেতু বিভাগ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গত ২০ এপ্রিল পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৭৭ হাজার মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।
এ বিষয়ে সেতু বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, গত ছয় দিনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে ৭৭ হাজার ৫২৯টি মোটরসাইকেল। এর মধ্যে মাওয়া থেকে পার হয়েছে ৪৭ হাজার ৭০৯টি ও জাজিরা থেকে ২৯ হাজার ৮২০টি। মোটরসাইকেল পারাপারে ১০০ টাকা হিসাবে টোল আদায় হয়েছে ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা।
বিপুল পরিমাণ মোটরসাইকেল পারাপারে সেতুতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটি। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জরিমানা গুনতে হয়েছে ৫৭ মোটরসাইকেল আরোহীকে। ৩ হাজার টাকা করে আদায় করা হয় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধনের পরের দিন যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় পদ্মা সেতু। প্রথম দিনে বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল সেতুটি দিয়ে পার হয়। টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেলে করে সেতু পার করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ওই রাতে এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন মারাত্মক আহত হন। ওই দুর্ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
পরের দিন পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ জুন সকাল ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। সেটি উত্থাপিত হয়নি বলে এ বছরের ১৫ জানুয়ারি খারিজ করে দেন আদালত।