কালবৈশাখী ঝড়ে নিমেষেই গরম আর ক্লান্তি দূর করলেও কেড়ে নিয়েছে ১৮ প্রাণ। ভারতের দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বজ্রপাতে একের পর এক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই ঘণ্টা ধরে তান্ডব চালোনোর পর প্রকৃতি যখন শান্ত হলো, তখন রাজ্যের ছয় জেলায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহে পরে দক্ষিণবঙ্গ সাময়িক আরাম পেয়েছিল ঝড়-বৃষ্টিতে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে মোট ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়, তিনজনের মৃত্যু হয়েছে হাওড়া জেলায়। এছাড়া বর্ধমান জেলায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের, দু’জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃষ্টির পূর্বাভাস দিতে গিয়ে বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশকুমার দাস জানারন, ‘বৃহস্পতিবার কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’সেই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়। ওই দিন দুপুর থেকেই রাজ্যের দক্ষিণ ভাগের বিস্তীর্ণ এলাকায় মেঘ জমতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি সঙ্গে প্রচণ্ড বজ্রপাত। ঝড়ের দাপটে রাজ্যে বহু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। কালবৈশাখীতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয় হয়ে পড়ে।
এরপরেই খবর আসে গাছ উপড়ে এবং বজ্রপাতে বিভিন্ন জায়গায় ১৮ জনের প্রাণ গেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।