বেশ কিছু দিনের টানা দাবদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলতে শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এবার সারা দেশেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এ ছাড়া লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায়, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-য়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর মেঘমালা তৈরি অব্যাহত থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তবে রাজশাহী, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে যে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটা দেশের উত্তরাঞ্চলে অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। যদিও আগামী ৩ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে এবং দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত আরও অগ্রসর হতে পারে।
এদিকে, ঢাকায় শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ।
শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেনীতে ৯৯, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে ৭৪, কক্সবাজারে ৩৪, কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ২৯, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২০, পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ১৮, নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ১৬, বরিশালে ১৫, ভোলায় ১৪, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ১৩, পটুয়াখালীতে ১২ এবং বান্দরবানে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ সময় ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, খুলনা ও সাতক্ষীরাতেও বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
নিকলিতে শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার (৮ জুন) নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।