স্বাধীনতার পর একমাত্র অবহেলিত ডাক বিভাগের ২৩ হাজার অতিরিক্ত বিভাগীয় কর্মচারী। অন্যসব বিভাগের কর্মচারীদের জীবনমান উন্নতি হলেও তাদের ভাগ্যের চাকা উন্নতি হয় না। মৃত্যুর পর টাকা তুলে দাফন কার্য সম্পাদন কর করতে হয়- বলেছেন বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম নিজাম।
বর্তমানে ২৩ হাজার কর্মচারীদের জনপ্রতি বেতন মাত্র ৪৪৬০টাকা, তাও আবার কয়েক দফা বৃদ্ধির পর পাচ্ছেন বলে জানান তিনি ৷
গতকাল শনিবার (১০ জুন) বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের আকরাম খাঁ হলে এক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক কর্মচারী সমিতির উপদেষ্টা মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক ১০দফা দাবী পেশ করেন। দাবীগুলো হলো- বর্তমান বাজার দর বিবেচনায় নুন্যতম বেতন ১৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা, ২৩ হাজার কর্মচারীর বেতন জাতীয় করণ, প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর কমিটির সভার মাধ্যমে কর্মচারীদের আবেদন বিবেচনা করে মঞ্জুরী প্রদানসহ ইডি কল্যান তহবিলের অর্থের নীতিমালা প্রণয়ন করা, ভারতের ন্যায় বাংলাদেশ শাখা ডাকঘর কর্মচারী বিধিমালা প্রণয়ন, সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় সকল ছুটির সুযোগ সৃষ্টি করা, বয়স্ক ও পেনশন যোগ্যদের এককালীন গ্রাচ্যুয়িটির ব্যবস্থা করা, কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় পোষাক সরবরাহ, সকল প্রকার উৎসব ভাতার ব্যবস্থাসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা ৷
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডাক কর্মচারী সমিতির উপদেষ্টা মূছা আহমেদ। এ ছাড়া ফকরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. ইদ্রিস আলী শেখ, গোলাম হোসেন মুকুল, মো. আব্দুল মন্নাফ, মো. আব্দুল হাই, সুনিল রঞ্জন তালুকদার, মো. গোলাম হোসেন মুকুলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ৷