দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্য দলগুলো বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীতে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। এদিন বিএনপির মহাসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে। তাই তাদের সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজধানীর যেসব সড়কে দিনব্যাপী কর্মসূচি থাকবে:
> মৎস্যভবন থেকে প্রেস ক্লাব হয়ে পল্টন সড়কে শিল্পকলা একাডেমির সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ ও বাম গণতান্ত্রিক জোট সমাবেশ করতে পারে।
> কাকরাইল হয়ে বিজয়নগর-পানির ট্যাংকি-পল্টন মোড় সড়কে বিজয়নগর মোড়ে ১২ দলীয় জোট, পানির ট্যাংকির সামনে ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট এবং লেবার পার্টির সমাবেশ করতে পারে।
> কাকরাইল মোড় হয়ে নয়াপল্টন-ভিআইপি রোডের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে পারে বিএনপি।
> রাজারবাগ মোড় থেকে ফকিরাপুল হয়ে বায়তুল মোকাররম রোডের আরামবাগে সমাবেশ করতে পারে গণফোরাম (মন্টু নেতৃত্বাধীন)।
> গুলিস্তান থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ হয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করতে পারে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ।
> মতিঝিল রোড থেকে তোপখানা হয়ে পল্টন মোড়ের বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে সমাবেশ করতে পারে ইসলামী আন্দোলন।
এদিকে দুই দলের কর্মসূচি নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমি সব রাজনৈতিক দলকে বলব আপনারা সমাবেশ করেন, কিন্তু জনগণকে কষ্ট না দিয়ে। জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে ভবিষ্যতে আমাদের বাধ্য হয়ে এসব কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হতে পারে।’
ওয়ার্কিং ডেতে বিশাল বিশাল জনসভা করে লাখ লাখ লোককে রাস্তায় আটকে রাখার মতো বিষয়গুলো যেন তারা বিবেচনা করেন। ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডে বাদ দিয়ে বন্ধের দিনগুলোতে কর্মসূচি গ্রহণ করার কথাও বলেন তিনি।
তবে মহাসমাবেশ করার জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা পল্টনের সড়ক বরাদ্দ পাচ্ছে না বিএনপি। দলটিকে সমাবেশের জন্য গোলাপবাগের মাঠ দেখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে উচ্চ আদালতের অবজারভেশন রয়েছে। আমরা বিএনপির প্রতিনিধি দলকে গোলাপবাগ মাঠ দেখতে বলেছি।
ভোগান্তি এড়াতে রাজধানীবাসী উল্লিখিত কয়েকটি সড়ক এড়িয়ে চলতে পারেন।