১১ বাড়ির পর ১২ নম্বর বাড়িতে চুরি শেষে ধরা

একের পর এক ১১টি বাড়ির পর ১২ নম্বর বাড়িতে চুরি শেষে সিসিটিভির ফুটেজে মো. রাকিব (২২) নামের এক চোরের চেহারা শনাক্ত করা হয়। আর সেই সূত্র ধরে গাজীপুর পিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই যুবক।

ঘটনাটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার। আটকৃত ওই যুবক অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি চুরি করে বেড়াতেন। খুব চতুরতার সঙ্গে চুরির কাজগুলো নিপুণভাবেই করে যাচ্ছিলেন ওই চোর।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান।

গ্রেপ্তারকৃত রাকিব নেত্রকোনা সদর স্বল্পদোগিয়া এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন বানিয়াচালা এলাকায় জনৈক সরোয়ারের বাড়িতে ভাড়া থেকে অটো চালাতেন ও গোপনে চুরি করতেন।

পিবিআই পুলিশ সুপার জানান, গত ২৬ আগস্ট জেলার শ্রীপুরে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় নাজমুন্নাহার শিরিন নামে এক নারীর ভাড়া বাসায় চুরি হয়। তিনি সকালে বাসায় তালা দিয়ে কাজে চলে যান। দুপুরে বাসায় ফিরে দেখতে পান তার বাসার দরজার তালা ভাঙা। ঘরের ভেতরে সবকিছু উল্টে পাল্টে রাখা। বাসায় থাকা টাকা, স্বর্ণালংকার, শাড়িও চুরি হয়েছে। পরে তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পান বেলা ১১টার দিকে একজন লোক বাসায় প্রবেশ করে সোয়া ১১টার দিকে একটি পলিথিনের শপিং ব্যাগ নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার জানান, পরে এ ঘটনায় নাজমুন্নাহার শিরিন শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর পিবিআই, গাজীপুর জেলা স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। পরে তদন্তকালে রাকিবকে শনিবার সকালে জয়দেবপুর থানাধীন বানিয়াচালার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চুরি করে আনা নগদ ১৩,৭০০ টাকা ও ২টি শাড়ি উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার রাকিব নেত্রকোনায় তার গ্রামের বাড়িতেও একাধিক চুরির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি গাজীপুরে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে অটোরিকশা চালাতেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন বাসা বাড়িতে চুরি করতেন। জিজ্ঞাসাবাদে গাজীপুর এলাকায় আরও ১১টি বাড়িতে চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতেও স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts