হাংঝু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশকে প্রথম পদকের মুখ দেখালেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। সোমবার জেজিয়াং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রোঞ্জ নিষ্পত্তির ম্যাচে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে হাংঝুতে দেশের পক্ষে প্রথম পদক জেতেন।
খেলা শেষে মাঠে উপস্থিত হয়ে জ্যোতিদের অভিনন্দনে ভাসান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, শেফ দ্য মিশন একে সরকার, সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফার ও বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর।
এর আগে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানে থামে তাদের ইনিংস। আলিয়া রিয়াজ সর্বোচ্চ ১৭ এবং অধিনায়ক নিদা দার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন। সাদাফ শামাসের ১৩ রানও পাকিস্তানকে এই স্কোর করতে সহায়তা করে।
বোলিংয়ে স্বর্ণ আক্তার চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিনটি এবং সানজিদা আক্তার মেঘলা চার ওভারে ১১ রানের খরচায় ২ উইকেট তুলে নেন। ৬৫ রানে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শামীমা সুলতানা ও সাথী রানী বাংলাদেশকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
কিন্তু ২৭ রানে এই জুটিকে ভাঙেন সাদিয়া ইকবাল। শাওয়াল জুলফিকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। দলীয় স্কোরে আর মাত্র পাঁচ রান যোগ করতেই নাসরা সান্ধুর শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লাল-সবুজের টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার সাথী রানীকে।
মাত্র দুই রানে সেই সান্ধুর শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। মাত্র ৩৪ রানেই নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট। কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যান লাল-সবুজের মেয়েরা। সান্ধুর তৃতীয় শিকারে পরিণত হন ৫ রান করা সোবহানা মোস্তারী। তখন স্কোর বোর্ডে ৪৩ রান।
জয়ের দিকেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ। পরের অধ্যায়টা অবশ্য ব্রোঞ্জ জয়েরই। পঞ্চম উইকেট জুটিতে স্বর্ণা আক্তার ও রিতু মনি ১৪ রান যোগ করে দলকে এগিয়ে দেন। নিদা দারের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন রিতু মনি। তবে সোমা আক্তার ও সুলতানা খাতুন উইকেটে থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
২০১০ গুয়াংজু এশিয়াডে পুরুষ ক্রিকেট দল স্বর্ণ ও মেয়েরা রুপা, ২০১৪ ইনচন এশিয়াডে মেয়েরা রুপা ও পুরুষ দল ব্রোঞ্জ জিতেছিল। এশিয়ান গেমসে এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পঞ্চম পদক জয়, যা কাবাডির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক লাল-সবুজের দেশটির।