তারেকুর রহমান: নাব্যতাসহ নানা সংকটে দীর্ঘ ৬ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবসে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে।
চলতি বছরের ২১ মার্চের পর জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে চলতি মাসের ২৭ সেপ্টেম্বর জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।
পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো. নাসিম আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. নাসিম আহমদের নেতৃত্বে একটি পর্যবেক্ষণ দল সেন্টমার্টিন পৌঁছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জাহাজ চলাচলের এই সিদ্ধান্ত নেন। এদিন সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যায় জেলা প্রশাসনের একটি পরিদর্শন দল।
মো. নাসিম আহমেদ বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে ৭ দিন ব্যাপি বর্ণাঢ্য আয়োজন রয়েছে। এরই অংশ হিসাবে বুধবার থেকে সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) জেলা প্রশাসনের একটি দল পর্যবেক্ষণ করেছে। পর্যবেক্ষণ দলটি উভয়পাড়ের জেটিঘাট, নাফনদীর নাব্যতাসহ নানা বিষয়ে উপযোগী কিনা খতিয়ে দেখেছে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) এর সিনিয়র সহ সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, নাফ নদীর নাব্যতা সংকট ও নদীতে একাধিক বালুচর জেগে ওঠার অজুহাতে গত বছর পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিলো। কিন্তু এবছর যথাসময়ে জাহাজ চলাচলের অনুমতি পাওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। পাশাপাশি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এই মৌসুমের প্রথম দিনেই প্রায় ৭০শতাংশ টিকেট বিক্রয় হয়েছে বলে জানান পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক রায়হান উদ্দিন আহমেদ। তবে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকেট ক্রয় বিক্রয়ের কথা থাকলেও প্রথমদিনে অতীতের ন্যায় টিকেট কেনাবেচা হয়েছে বলে জানান পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
পর্যবেক্ষণ দলে ছিলেন, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রায়হান উদ্দিন আহমেদ, পর্যটন উদ্যোক্তা তৌহিদুল ইসলাম তোহা, ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, সহ সভাপতি মিল্কি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।