তারেকুর রহমান: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বালু দিয়ে তৈরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাস্কর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন বেড়াতে আসা হাজারো দর্শনার্থী। এ ভাস্কর্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে শুরু হওয়া পর্যটনমেলা ও বিচ কার্নিভালে ব্র্যান্ডিং কক্সবাজারের উদ্যোগে লাবণী সৈকতে তৈরি হয়েছে জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বালু ভাস্কর্য।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভাস্কর্য উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। এসময় উপস্থিত ছিলেন পর্যটনমেলা ও বিচ কার্নিভাল আয়োজনের আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেনসহ জেলা প্রশাসন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার’র প্রধান নির্বাহী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ভাস্কর্যের একঝাঁক শিক্ষার্থী নিয়ে কামরুল হাসান শিপনের নেতৃত্বে ভাস্কর্য দুটি তৈরি করা হয়। তৈরি করতে সময় লাগে ৭দিন।
উদ্বোধনের পরপরই ভাস্কর্য দেখতে ভিড় করে স্থানীয় দর্শনার্থী ও পর্যটকরা। কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজেনা মেহরিন বলেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ব্যতিক্রম আয়োজন দেখে খুবই ভালো লাগছে। সৈকতে বঙ্গবন্ধুর পাশে শেখ হাসিনার ভাস্কর্যটি আমার খুবই ভালো লেগেছে।
রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা রাশেদুল ইসলাম ও কহিনুর আক্তার দম্পতি বলেন, কক্সবাজারে বেড়াতে আসার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে ছিল। কিন্তু পর্যটনমেলা শুরু হবে জেনে একটু পরে আসলাম যাতে দুয়েকদিন মেলায় ঘুরতে পারি। এখানে এসে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর বালু ভাস্কর্য দেখে। এখনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন হুবহু তাদের চেহারার সঙ্গে মিলে গেল।
ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার’র প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক আহমদ জয় বলেন, কক্সবাজারে যে উৎসব চলছে তা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন। এছাড়াও কক্সবাজারে দেশিবিদেশি অনেক পর্যটক বেড়াতে আসেন। বিশ্ব পর্যটন দিবসে পর্যটন মেলা উপভোগ করার জন্য প্রতিবারের চেয়ে এবার লোকজনের ভিড় আরো বাড়ছে। তাদের হৃদয়ে যেন বঙ্গবন্ধু ও দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ গেঁথে থাকে সেই উদ্দেশ্যে এই বালু ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা। ২৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন। সেই প্রেক্ষিতে এই ভাস্কর্য আরো বেশি পূর্ণতা পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘পর্যটনমেলাকে আরো বেশি সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে এই বালু ভাস্কর্য। ভাস্কর্য দেখতে নানা বয়সের মানুষ আসবে। বালু ভাস্কর্যে বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীকে দেখে তারা ইতিহাস জানার চেষ্টা করবে এবং মুক্তিযোদ্ধের চেতনাকে ধারণ করবে। সপ্তাহজুড়ে চলমান পর্যটনমেলায় দেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ ও ছাড় রয়েছে। আমরা চাই সারা দেশ থেকে পর্যটকরা কক্সবাজার এসে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করুক।
২৭ সেপ্টেম্বর সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সাত দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভালসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে হোটেল ভাড়া, কেনাকাটা ও খাওয়া-দাওয়াসহ ১৫টির বেশি জিনিসের উপর ছাড় দেওয়া হয়েছে।