কিশোরগঞ্জের নিকলীর ছেলে জোবানের প্রেমের টানে সুদূর মালয়েশিয়া থেকে ছুটে এসেছে লায়লা। হাওরে তাদের মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ানো এবং বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে এলাকাবাসী দলবেঁধে বউ দেখার জন্য জোবানের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমি তাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি-পাঁচ বছর আগে কর্মসংস্থানের জন্য মালয়েশিয়া পাড়ি জমায় আদনান রকি জোবান (২৬)। নিকলি উপজেলার দামপাড়া গোয়াইহাটি গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে জোবান বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ব্যবসা করছে।
তিনি জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার মেয়ে লায়লা মিয়া আব্দুল্লাহ (২১) এর সাথে তার পরিচয়। তারপর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেম ও পরিণয় ঘটে। গত শুক্রবার মেয়েটির বোনের উপস্থিততেই তাদের বিয়ে হয়।
আদনান রকি জোবান বলেন, লায়লা ও আমার মাঝে প্রেমের বয়স সাত মাসের। সে এখনো পড়াশোনা করছে। তবে ওর সাথে প্রেম হওয়ার কিছুদিন পর আমরা দুজনই বিয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করি। তখন লায়লা জানায় সে আমাকে বাংলাদেশে এসে আমাদের পরিবেশে ঘটা করে বিয়ে করবে। আমিও তাতে অনেক খুশি হয়েছি। পরে লায়লার ইচ্ছেতেই দুই বোনকে ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিয়ে আসি। এ কয়েকদিন আমাদের বিভিন্ন জায়গা ওদের ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। এরপর শুক্রবার (৬ অক্টোবর) তার বোনের উপস্থিতিতে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর লায়লার বোন মালয়েশিয়ায় চলে গেছে। এ মাসের ২১ অক্টোবর আমরাও চলে যাবো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
এ ব্যাপারে জোবানের পরিবার জানায়, জোবান আমাদের এ বিষয়টি আগেই জানিয়েছিল। আমরা তাদের প্রেম ও বিয়ের ব্যাপারে কোনো প্রকার বাধা দেইনি। বরং আমরা অনেক খুশি হয়েছি, তারা তাদের জীবনে খুশি থাকবে। লায়লার পরিবারের সম্মতিতেই তাদের বিয়ে হয়েছে। লায়লার বোনও তখন তাদের সাথেই ছিল। আমরা তাদের জীবনের উন্নতি ও সফলতা কামনা করি।