ঢাকা, ৯ অক্টোবর: সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং অ্যাপোলো হাসপাতাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড দ্বারা ক্যান্সারের পরিচর্যায় অগ্রগতির উপর একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেনা কল্যাণের কল্যাণ বিভাগ এবং অ্যাপোলো হাসপাতাল গ্রুপ-ইন্ডিয়ার মধ্যে একটি কৌশলগত সহযোগিতার অংশ হিসাবে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের এমডি এবং সিইও, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সেনা কল্যাণ সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করেন কল্যাণ বিভাগের মহাপরিচালক, এয়ার কমোডর মোঃ শাহারুল হুদা ও ব্যবসায়িক বিভাগের প্রধান, কর্নেল শাহাবুদ্দিন হাসান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম অ্যাপোলো টিমকে ধন্যবাদ জানান এবং কল্যাণ বিভাগের এই উদ্যমের প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপগুলো ক্লিনিক্যাল এবং রোগী উভয় সম্প্রদায়কেই উপকৃত করবে।
এয়ার কমোডর মোঃ শাহারুল হুদা বলেন, তিনি এমন একটি অধিবেশন আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত এবং হোয়াটসঅ্যাপ সেকেন্ড মেডিকেল অপিনিওন সার্ভিস (01329672100)সম্পর্কে বিস্তারিত জানান, যা ইভেন্ট চলাকালীন সময়ে উন্মোচন করা হয়। তার বিবৃতি অনুযায়ী, অ্যাপোলো হাসপাতালের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট, ডাঃ কে. হরিপ্রসাদ সেনা কল্যাণের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে অ্যাপোলো হাসপাতালের দীর্ঘ চার দশকের মূল্যবান যোগাযোগ রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে ক্যানসার হটলাইন রোগীদের সহায়তা করবে এবং চিকিৎসা সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করবে।
অ্যাপোলো ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, চেন্নাইয়ের সিনিয়র কনসালট্যান্ট রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট, ডাঃ পি. মহাদেব সবচেয়ে উন্নত সাইবারনাইফ রোবোটিক রেডিও সার্জারি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একমাত্র প্রোটন বিম থেরাপি সম্পর্কে বলেন এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট এবং রোবোটিক সার্জন, ডাঃ অজিত পাই, ক্যানসার এবং হাইপেক-এ রোবোটিক্সের অগ্রগতি সম্পর্কে কথা বলেন।
অ্যাপোলো হাসপাতাল ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, জনাব জিতু যোস অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য সেনা কল্যাণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অ্যাপোলোর ঢাকা অফিস থেকে জনাব শফিক আজম এবং ডাঃ মোক্তার হোসেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেনা কল্যাণ সংস্থা: সেনা কল্যাণ সংস্থা (এসকেএস) যুদ্ধ পরবর্তি পরিষেবা পুনর্গঠন তহবিল হিসাবে যাত্রা শুরু করেছিল। ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের পর এটি ফৌজি ফাউন্ডেশন নামে পরিচিত ছিল। ১ জুলাই ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ফৌজি ফাউন্ডেশনের নাম পরিবর্তন করে সেনা কল্যাণ সংস্থা করা হয়। এটি সশস্ত্র বাহিনীর মুক্তিপ্রাপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত এবং অব্যাহতিপ্রাপ্ত কর্মী এবং তাদের পরিবারের কল্যাণে নিবেদিত একটি ট্রাস্ট।
অ্যাপোলো হাসপাতাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (এএইচইএল): ১৯৮৩ সালে, ডাঃ প্রতাপ রেড্ডি চেন্নাইতে ভারতের সর্বপ্রথম কর্পোরেট হাসপাতাল- অ্যাপোলো হাসপাতাল চালু করে একটি অগ্রণী প্রচেষ্টা করেছিলেন। এখন, এশিয়ার বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিশ্বস্ত স্বাস্থ্যসেবা গোষ্ঠী হিসাবে এটি কাজ করছে। এতে রয়েছে ১০০০০ শয্যা সম্বলিত ৭২টি হাসপাতাল, ৫০০০টি ফার্মেসি, ১০০টি প্রাইমারি কেয়ার ও ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক, ৯টি দেশে ১০০টি টেলিমেডিসিন ইউনিট, চিকিৎসা ব্যবসা প্রক্রিয়া, আউটসোর্সিং সেবা, স্বাস্থ্য বীমা সেবা, গ্লোবাল প্রজেক্ট কনসালটেন্সি, নার্সিং ও হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের ১৫টি কলেজ এবং একটি রিসার্চ ফাউন্ডেশন যা গ্লোবাল ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, মহামারী সংক্রান্ত অধ্যয়ন, স্টেম সেল এবং জেনেটিক গবেষণার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
ভারত সরকার অ্যাপোলোর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি স্মারক স্ট্যাম্প জারি করেছে, যা একটি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার জন্য প্রথম এবং বিরল সম্মান। অ্যাপোলো হসপিটালসের চেয়ারম্যান, ডঃ প্রতাপ সি রেড্ডি, ২০১০ সালে মর্যাদাপূর্ণ পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন। ৩৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে, অ্যাপোলো হাসপাতাল গ্রুপ চিকিৎসা উদ্ভাবন, বিশ্বমানের ক্লিনিক্যাল সেবা এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ক্রমাগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং নেতৃত্ব বজায় রেখে চলেছে।