ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগে পাল্টাপাল্টি

নোমান হাওলাদারের সমর্থকদের হাতে এমপির বাহিনী অবরুদ্ধ : উদ্ধার করলো পুলিশ

ভোলা প্রতিনিধি : ভোলা-৩ আসনে আওয়ামী লীগে চলছে পাল্টাপাল্টি, দলীয় অবস্থান নিশ্চিতে চলছে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া। ভোলার লালমোহন উপজেলায় বর্তমান এমপির সমর্থক আওয়ামী লীগের উপজেলা ও পৌর কমিটির কতিপয় নেতা সে শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থক ও স্থানীয় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজারে ও রাত ৯ টার দিকে চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজারে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেলে পালানোকালে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন আহত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ অবরুদ্ধ শাওন সমর্থকদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অনুসারী কিছু নেতাকর্মী এলাকার আধিপত্য ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দিচ্ছে। এরা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের অনুসারী স্থানীয় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হামলা-মামলার মাধ্যমে কোনঠাসা করে রেখেছে। শনিবার উপজেলার দুই ইউনিয়নে শক্তির মহড়া দিতে গেলে এমপির লোকজন জনতার রোষানলে পড়ে। ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের সমর্থকরা তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন।

ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মামুন হাওলাদার জানান, হাইব্রিডকে মূল্যায়ন এবং হাইব্রিড নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতা কর্মীদেরকে প্রতিনিয়ত মামলা হামলা এবং নির্যাতন করায় বর্তমান এমপির জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে। তার হাইব্রিড অনুসারি রিমন, মেহের, বিল্লাল ও সজীবের নেতৃত্বে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী লালমোহন পৌরসভা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে হাজির হাট বাজারে মহড়া দিতে গেলে ক্ষুব্ধ জনতা এদের আটকে ফেলে। বাজার ব্যবসায়ী সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। পরে এদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

চরভূতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন হাওলাদার জানান, বিএনপি’র চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এমপি শাওনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দলে জায়গা করে নিয়েছে। এখন এই হাইব্রিড সন্ত্রাসীরা দলের জন্য বিষফোঁড়া । এদের অত্যাচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তাই এই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এলাকায় মহড়া দিতে আসলে আমরা সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করি।

এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়েই সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts