ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি মরণব্যাধী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার নারী, অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ১৯ জন মারা যাচ্ছেন প্রাণঘাতী ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণে। শুধুমাত্র সচেতনতাই পারে এই মৃত্যুহার অনেকটা কমিয়ে আনতে। প্রাথমিক পর্যায়ের সনাক্তকরণে এ রোগে সুস্থতার হার প্রায় ৯০%। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অক্টোবর মাসটিকে ‘ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ হিসেবে পালন করা হয়, যা ‘পিংক অক্টোবর’ হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়। মাসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ব্রেস্ট ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও প্রতিকার নিশ্চিত করা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ফ্রেশ টিস্যু বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা ও সনাক্তকরণে দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এর অংশ হিসেবে ফ্রেশ টিস্যু ও ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন-এর যৌথ উদ্যোগে ১৭ অক্টোবর এমজিআই-এর হেড অফিস, উত্তরা অফিস ও ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ পিংক টি-শার্ট পরিধান করে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতায় নিজেরাও একাত্ম হয়ে একটি পিংক র্যালিতে অংশ নেন। সেইসাথে নিজ নিজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে ছবি ও পোস্ট শেয়ার করেন তারা।
এছাড়াও, পিংক র্যালিতে এমজিআই-এর সম্মানিত পরিচালক ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও হেড অব এক্সপোর্ট সামিরা রহমান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (অ্যাডমিন) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও, এফএমসিজি) সৈয়দ আলমগীর, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার (সিএইচআরও) আতিক উজ জামান খান, সিনিয়র জিএম (ব্র্যান্ড) কাজী মোঃ মহিউদ্দিন, জিএম (সেলস) মোঃ ইয়াছিন মোল্লা সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ পিংক টি-শার্ট পরে অংশগ্রহণ করেন।
ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতায় বরাবরের মতো এবারও ফ্রেশ টিস্যু-র সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-এ একটি বিশেষ ওভিসি প্রকাশ করা হবে।
গত বছরও ফ্রেশ টিস্যু-র এই ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ পুলিশ-সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও নিজ নিজ কর্মস্থলে পিংক টি-শার্ট পরিধান করেন। সেইসাথে ফ্রেশ টিস্যু-এর পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম-এ একটি বিশেষ ওভিসি-ও প্রকাশ করা হয়।