বাড়িতে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলিয়ে তাসলিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই গৃহবধূর ৩ বছর বয়সী ছেলেকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে লাশের পাশে হাত পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বগুড়া সদরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮টার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
নিহত তাসলিমা ওই এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।
তাসলিমার স্বামী সিরাজুল ইসলাম জানান, কে বা কারা তার স্ত্রীকে মেরেছে তিনি অনুমান করতে পারছেন না। তিনি বগুড়া শহরের ভাংড়িপট্টি এলাকায় ব্যবসা করেন। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। পরে রাত ৮টার পর তিনি বাইরে থেকে গেটের লক খুলে বাড়িতে ঢুকেন। তখন পুরো বাড়ি অন্ধকার ছিলো। কোথাও কোন বাল্ব জ্বালানো ছিলো না। ভেতরে প্রবেশ করে আলো জ্বালিয়ে তিনি দেখেন তার স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে। তার মাথা থেতলানো। লাশের পাশে হাতুড়িও পড়ে আছে। তার ৩ বছরের শিশুকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই শিশুর হাত পা বেঁধে লাশের পাশে ফেলে রাখা হয়েছিলো। তিনি এ রকম অবস্থা দেখে চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এবং আত্মীয় স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসে। তার সন্তানকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুজ্জামান বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ জন্য জেলা পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।